ঢাকাশুক্রবার , ৭ নভেম্বর ২০২৫
  • অন্যান্য

আগাম শীতের সবজিতে স্বস্তি, অর্ধেকে নেমেছে দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক
নভেম্বর ৭, ২০২৫ ১১:২৩ পূর্বাহ্ণ । ১০৮ জন

এক-দেড় মাস পর নামবে শীতের আমেজ। তবে রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোয় এখনই শীতের আবহ। আগাম মৌসুমের ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা, শিম, গাজরসহ নানা সবজি বাজারে উঠতে শুরু করায় টানা কয়েক মাস ধরে ঊর্ধ্বমুখী থাকা সবজির দামে নেমেছে স্বস্তির ঢেউ। প্রতিটি সবজির দাম প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে, স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছেন সাধারণ ক্রেতারা।

শুক্রবার (৭ নভেম্বর) রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, শনিরআখড়া, কাজলা ও আশপাশের কয়েকটি কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, ক্রেতাদের মুখে তৃপ্তির হাসি। কেউ ফুলকপি হাতে, কেউ আবার ঝুড়ি ভরছেন তাজা গাজর, শিম বা মুলা দিয়ে।

ক্রেতারা বলছেন, টানা চার-পাঁচ মাস ধরে সবজির দাম নাগালের বাইরে ছিল। এখন আগাম শীতের সবজি বাজারে আসায় দাম অর্ধেকে নেমে এসেছে। আগে যেসব সবজির দাম ছিল ৮০ থেকে ১০০ টাকা, এখন সেগুলো ৪০ থেকে ৫০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। তারা আশা করছেন, শীতের ভর মৌসুমে দাম আরও কমবে।

বিক্রেতারাও জানাচ্ছেন, দেশের উত্তরাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকায় আগাম মৌসুমে উৎপাদিত সবজি বাজারে আসায় সরবরাহ বেড়েছে। ফলে পাইকারি ও খুচরা—দুই পর্যায়েই দামে স্বস্তি এসেছে।

বর্তমানে রাজধানীর বাজারগুলোয় প্রতি কেজি বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, মুলা ৪০-৫০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, শসা ৫০ টাকা, গাজর ৮০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১৫০ টাকা, টমেটো ১০০-১২০ টাকা এবং মিষ্টি কুমড়া ৪০-৫০ টাকায়।

এছাড়া ঢেঁড়শ ৪০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, বেগুন ৮০ টাকা, ঝিঙা ও ধন্দুল ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফুলকপি ও বাঁধাকপি (ছোট) প্রতি পিস ৪০-৫০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। লাউ ৪০-৫০ টাকা, কাঁচা কলা (প্রতি হালি) ৪০ টাকা এবং কচুর লতি মুঠো ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

যাত্রাবাড়ীর এক ক্রেতা বলেন, “দুই সপ্তাহ আগেও ফুলকপি একশ টাকা ছিল, এখন ৫০-৬০ টাকায় পাচ্ছি। শীতের সবজি উঠতে থাকলে দাম আরও কমবে বলে মনে হচ্ছে।”

সবজি বিক্রেতারাও জানালেন, আগাম উৎপাদন ভালো হওয়ায় পাইকারি দামে স্বস্তি এসেছে, যদিও পরিবহন ও অন্যান্য খরচ কিছুটা বেড়ে যাওয়ায় দাম পুরোপুরি কমেনি। তারা আশা করছেন, মাসখানেক পর দাম আরও কিছুটা কমে আসবে।

কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, আগাম জাতের সবজি চাষে কৃষকরা ভালো দাম পাচ্ছেন। এতে একদিকে উৎপাদন ও সরবরাহ বাড়ছে, অন্যদিকে ভোক্তারাও পাচ্ছেন স্বস্তি।

সামনে শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাজারে আরও বেশি পরিমাণে সবজি উঠবে বলে আশা করা হচ্ছে। ফলে সাধারণ ক্রেতারা আগাম শীতের স্বাদে পাচ্ছেন কিছুটা স্বস্তির নিশ্বাস।