মহাখালী ডিওএইচএস আবাসিক এলাকার ভেতরে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ (বিএটিবি)-এর কারখানা চালুর বিরুদ্ধে দেওয়া রায়কে ঐতিহাসিক উল্লেখ করে দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট। বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ বিএটিবি’র করা আপিল খারিজ করে দেয়।
জোট এক বিবৃতিতে জানায়, এই রায় জনস্বাস্থ্য এবং পরিবেশ সুরক্ষায় এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এটি বাংলাদেশকে তামাক নিয়ন্ত্রণ ও জনস্বাস্থ্য উন্নয়নের ক্ষেত্রে এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে। তাই এই রায়ের দ্রুত বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে যথাযথ উদ্যোগ নিতে হবে।
তারা আরও জানায়, শুধু ঢাকা নয়, দেশের অন্যান্য আবাসিক এলাকাগুলোতেও অবস্থিত সব তামাক কারখানা দ্রুত সরিয়ে ফেলার পদক্ষেপ নিতে হবে। দীর্ঘদিন ধরে তামাক ও পরিবেশবিরোধী সংগঠনগুলো এই দাবি জানিয়ে আসছে।
তামাক কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় আইন লঙ্ঘন, নীতিনির্ধারণে প্রভাব বিস্তার, এবং হয়রানিমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ তুলে জোট জানায়—এসব তৎপরতা জনস্বাস্থ্য রক্ষায় নেওয়া রাষ্ট্রীয় উদ্যোগের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তাই তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালী করে এসব অনিয়ম রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা, ২০২৩ সংশোধন করে তামাক কারখানাকে পুনরায় ‘লাল’ শ্রেণিভুক্ত করাও এখন সময়ের দাবি। এটি বাস্তবায়িত হলে আবাসিক ও সংবেদনশীল এলাকায় তামাক কারখানা স্থাপনা প্রতিরোধ করা সহজ হবে বলে জোট মনে করে।