কোরবানির ঈদ উদযাপনের তৃতীয় দিনেও কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন এলাকায় অপসারণ হয়নি কোরবানির পশুর বর্জ্য। সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে ১২ ঘণ্টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণের ঘোষণা থাকলেও বাস্তবে তার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না। ফলে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বর্জ্য পড়ে থাকায় সৃষ্টি হয়েছে তীব্র দুর্গন্ধ ও পরিবেশদূষণ। চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও পথচারীরা।
সোমবার (৯ জুন) সকাল সাড়ে ৮টায় সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, নগরীর দারোগাবাড়ি, চকবাজার মৌলভীপাড়া, কাটাবিল মুন্সি বাড়ী, গর্জনখোলা সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় কোরবানির বর্জ্য ও ময়লা-আবর্জনা রাস্তায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে আছে। বর্জ্য পড়ে থাকায় বাসিন্দারা ঘর থেকেও বের হতে পারছেন না। দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন সবাই।
দারোগাবাড়ি এলাকার বাসিন্দা আশিকুর রহমান নেমান বলেন, “ঈদের দিন কোরবানির পর বর্জ্য যেখানে ছিল, এখনও সেখানেই পড়ে আছে। দুর্গন্ধে ঘরে থাকা দায় হয়ে গেছে, রাস্তায় বের হওয়া যাচ্ছে না।”
কাটাবিল মুন্সি বাড়ি এলাকার নাঈম বলেন, “এই বর্জ্য ঈদের দিনের, তিন দিন পার হয়ে গেলেও কেউ এসে অপসারণ করেনি। বাচ্চারা অসুস্থ হয়ে পড়ছে, দুর্গন্ধে বাড়িতে থাকা যাচ্ছে না।”
নগরীর প্রাণকেন্দ্র দারোগাবাড়ি এলাকায় অবস্থিত মাজার জিয়ারতে প্রতিদিন বহু মুসল্লি আসলেও, বর্জ্যের দুর্গন্ধ তাদেরকেও ভোগান্তিতে ফেলেছে।
স্থানীয়রা জানান, সিটি কর্পোরেশনের হটলাইন নম্বরে ফোন করেও কোনো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ মামুন বলেন, “কোরবানির বর্জ্য অপসারণে আমাদের ৫২৪ জন কর্মী ও ৫২টি পরিবহন কাজ করছে। আমরা বলেছিলাম ১২ থেকে ১৫ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ হবে। তবে যেসব এলাকায় এখনও বর্জ্য রয়েছে, সেগুলোর বিষয়ে আজকেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
বাস্তব চিত্র যদিও বলছে ভিন্ন কথা, নগরবাসীর প্রত্যাশা দ্রুততম সময়ে এই সমস্যা সমাধানে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করবে সিটি কর্পোরেশন।