ঢাকাশনিবার , ১১ অক্টোবর ২০২৫
  • অন্যান্য

আজকের সর্বশেষ সবখবর

এলপিজির দাম ১ হাজার টাকার মধ্যে আনার আহ্বান উপদেষ্টা ফওজুল কাবির খানের

নিজস্ব প্রতিবেদক
অক্টোবর ১১, ২০২৫ ২:২৮ অপরাহ্ণ । ৭৯ জন

দেশের স্বল্পমেয়াদি জ্বালানি সংকট মোকাবিলায় তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মোহাম্মদ ফওজুল কাবির খান। তিনি বলেন, বর্তমান বাজারমূল্য ১২০০ টাকার বেশি হওয়ায় শিল্প ও গৃহস্থালি ব্যবহারকারীরা কাঙ্ক্ষিত সুবিধা পাচ্ছেন না, অথচ এর দাম ১ হাজার টাকার মধ্যে হওয়া উচিত।

শনিবার (১১ অক্টোবর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে দৈনিক বণিক বার্তা আয়োজিত ‘বাংলাদেশে এলপিজি: অর্থনীতি, পরিবেশ ও নিরাপত্তা’ শীর্ষক পলিসি কনক্লেভে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, “এলপিজির প্রধান চ্যালেঞ্জ হলো দাম। বর্তমানে ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম ১২০০ টাকার বেশি, অনেক ক্ষেত্রে ১৪০০–১৫০০ টাকাতেও বিক্রি হচ্ছে। দাম নিয়ন্ত্রণ, লজিস্টিক ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং বেসরকারি খাতের কার্যকারিতা বৃদ্ধি এখন অত্যন্ত জরুরি।”

তিনি আরও বলেন, “দায়িত্বশীল ব্যবসায়িক মনোভাব ছাড়া দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। সরকারি ও বেসরকারি খাতের মধ্যে স্বচ্ছতা ও সমন্বয় বাড়াতে হবে, যাতে শিল্প ও গৃহস্থালি ব্যবহারকারীরা প্রকৃত সুবিধা পান।”

ফওজুল কাবির খান বলেন, দেশের প্রাথমিক জ্বালানির ঘাটতি কোনো স্বাভাবিক সংকট নয়, বরং এটি একটি পরিকল্পিত অবস্থা। “কিছু ক্ষমতাসীন রাজনীতিক ও তাদের সহযোগী ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর কারণে গ্যাস সরবরাহ ব্যবস্থায় দীর্ঘদিন ধরে পরিকল্পনার অভাব ও অবৈধ সংযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা বর্তমান সংকটকে তীব্র করেছে।”

তিনি জানান, স্থানীয় গ্যাস উৎপাদন প্রতিবছর প্রায় ২০০ মিলিয়ন কিউবিক ফুট করে কমছে, অথচ নতুনভাবে উৎপাদন বাড়ছে মাত্র ৭০ মিলিয়ন কিউবিক ফুট। এই ঘাটতি পূরণে সরকার এলএনজি আমদানির ওপর নির্ভর করছে, যদিও এর উচ্চমূল্য নিয়ে সমালোচনা রয়েছে।

“এলএনজি আমদানিতে দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া প্রয়োজন, তাই স্বল্পমেয়াদে ঘাটতি মোকাবিলায় এলপিজি হতে পারে কার্যকর বিকল্প,” যোগ করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান এবং বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ। আলোচকরা বলেন, এলপিজি খাতের সুষ্ঠু নিয়ন্ত্রণ ও দাম নির্ধারণে সঠিক নীতিমালা প্রণয়ন না হলে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে পড়বে।