ঢাকাবুধবার , ১৮ জুন ২০২৫

ইরানে হোয়াটসঅ্যাপ মুছে ফেলার আহ্বান, ইসরায়েলে তথ্য পাচারের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
জুন ১৮, ২০২৫ ১:৩১ অপরাহ্ণ । ৪৬ জন

ইরানের সরকার দেশটির নাগরিকদের হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাপটি স্মার্টফোন থেকে মুছে ফেলার আহ্বান জানিয়েছে। অভিযোগ, এই মেসেজিং অ্যাপ ব্যবহারকারীদের তথ্য সংগ্রহ করে তা ইসরায়েলে পাঠাচ্ছে।

মঙ্গলবার (১৭ জুন) বিকেলে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ঘোষণায় নাগরিকদের এই পদক্ষেপ নিতে বলা হয়। তবে এ অভিযোগের পক্ষে ইরান সরকার কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ উপস্থাপন করেনি।

হোয়াটসঅ্যাপের পাল্টা প্রতিক্রিয়া
এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ। এক বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, “এই সংকটময় সময়ে যখন মানুষ নিরাপদ যোগাযোগের সেবা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন, তখন বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে আমাদের সেবা বন্ধের চেষ্টা চলছে।”

হোয়াটসঅ্যাপ দাবি করেছে, তাদের প্ল্যাটফর্মে এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন ব্যবহৃত হয়, যার ফলে ব্যবহারকারীর বার্তা প্রেরক ও প্রাপক ছাড়া কেউই পড়তে পারে না। কোনো সরকার বা তৃতীয় পক্ষের কাছে ব্যক্তিগত তথ্য সরবরাহ করা হয় না বলেও দাবি করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

সাইবার বিশেষজ্ঞদের মতামত
যুক্তরাষ্ট্রের কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ গ্রেগরি ফ্যালকো বলেন, “হোয়াটসঅ্যাপে কিছু মেটাডেটা এনক্রিপ্ট করা হয় না, যা ব্যবহারকারীর আচরণ বিশ্লেষণে ব্যবহৃত হতে পারে।”

তিনি আরও বলেন, “ডেটা সার্বভৌমত্ব একটি বড় ইস্যু। কোনো দেশের ব্যবহারকারীদের তথ্য অন্য দেশের সার্ভারে হোস্ট করা হলে নিরাপত্তা ও নিয়ন্ত্রণের প্রশ্ন উঠে। ইরানের ক্ষেত্রেও বিষয়টি প্রাসঙ্গিক।”

ইরানে হোয়াটসঅ্যাপের অবস্থান
মেটার মালিকানাধীন হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের মতো অ্যাপগুলোর ওপর এর আগেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ইরান। তবে অনেকেই এখনো ভিপিএন বা প্রক্সি ব্যবহার করে এই সেবা গ্রহণ করে আসছেন।

২০২২ সালে নীতি পুলিশের হেফাজতে এক নারীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে বিক্ষোভের সময় হোয়াটসঅ্যাপ ও গুগল প্লে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। যদিও গত বছরের শেষ দিকে সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়।