ঢাকাবুধবার , ১৫ অক্টোবর ২০২৫
  • অন্যান্য

আজকের সর্বশেষ সবখবর

২০৩০ সালে বৈশ্বিক খাদ্যের চাহিদা বাড়বে ৬০%

নিজস্ব প্রতিবেদক
অক্টোবর ১৫, ২০২৫ ১২:১৪ অপরাহ্ণ । ১১৬ জন

২০৩০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক খাদ্যের চাহিদা প্রায় ৬০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে ধারণা করছে বিশ্বব্যাংক। এতে ২০৫০ সালের মধ্যে ১০ ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনৈতিক সুযোগ তৈরি হতে পারে, যা কৃষি খাতে বিপুল কর্মসংস্থানের দ্বার খুলে দেবে।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত বিশ্বব্যাংকের বার্ষিক সভায় ‘এগ্রিকানেক্ট উদ্যোগ’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এই তথ্য জানানো হয়। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিলের (আইএফএডি) সভাপতি আলভারো লারিও।

বিশ্বব্যাংক জানায়, আগামী এক দশকে ১.২ বিলিয়ন তরুণ উন্নয়নশীল দেশের শ্রমবাজারে প্রবেশ করবে। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী কৃষি ও খাদ্য ব্যবস্থার মাধ্যমে ৪০ শতাংশ কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে। ২০৩০ সালের মধ্যে ২৫ কোটি ক্ষুদ্র কৃষকের জীবনমান উন্নয়নে বিশেষ পরিকল্পনা নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এতে সহায়তা করবে আইএফএডি, যারা অন্তত ৭ কোটি ক্ষুদ্র কৃষক ও খাদ্য উৎপাদককে সহায়তা দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে।

‘এগ্রিকানেক্ট’ নতুন এই উদ্যোগের লক্ষ্য হলো, ক্ষুদ্র কৃষকদের জীবিকা রূপান্তর, কৃষি ব্যবসায় নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি, বৈশ্বিক খাদ্য নিরাপত্তা জোরদার করা।

এই প্রচেষ্টা বিশ্বব্যাংক, আফ্রিকান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক ও ইন্টার-আমেরিকান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের যৌথ সহযোগিতায় বাস্তবায়িত হবে।

আইএফএডি সভাপতি লারিও বলেন, আমরা ক্ষুদ্র কৃষকদের আয় বৃদ্ধি, ফলন উন্নয়ন এবং বাজারে সহজ প্রবেশাধিকারের ওপর জোর দিচ্ছি। গ্রামীণ এলাকাগুলোকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান ও খাদ্য নিরাপত্তার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করাই আমাদের লক্ষ্য।

গত পাঁচ দশক ধরে ইফাদ বিশ্বের সবচেয়ে নাজুক গ্রামীণ অঞ্চলে বিনিয়োগ করছে। ২০২২–২০২৪ সালের প্রকল্পে অংশ নেওয়া কৃষকরা গড়ে ৩৪ শতাংশ আয় বৃদ্ধি, ৩৫ শতাংশ উৎপাদন বৃদ্ধি এবং ৩৪ শতাংশ বাজারে প্রবেশাধিকার পেয়েছেন।

২০১৯–২০২৩ সালে ইফাদের ৭০ শতাংশ প্রকল্পে স্থানীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যুক্ত ছিল। ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগের জন্য সরাসরি ঋণ ও ঝুঁকি হ্রাস কর্মসূচির মাধ্যমে কৃষকদের অর্থনৈতিক সুযোগ ও কর্মসংস্থান বাড়ানো হয়েছে।

ইফাদ এখন সবুজ কর্মসংস্থান, ডিজিটাল উদ্ভাবন, কৃষিভিত্তিক উদ্যোক্তা উন্নয়ন ও কারিগরি প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে, যাতে তরুণ প্রজন্ম কৃষিতে যুক্ত হতে আগ্রহী হয়।

বিশ্বব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, কৃষি খাতের প্রবৃদ্ধি দারিদ্র্য হ্রাসে অন্য খাতের তুলনায় ২ থেকে ৩ গুণ বেশি কার্যকর। বর্তমানে বিশ্বের ৮০ শতাংশ দরিদ্র মানুষ গ্রামীণ এলাকায় বাস করে, যাদের উন্নয়নেই বৈশ্বিক খাদ্য নিরাপত্তা টেকসই হতে পারে। শুধু আফ্রিকার কৃষি ব্যবসা খাতের বাজারই ২০৩০ সালের মধ্যে ১ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছাতে পারে।