ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) তার জলবায়ু নীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছে। গাড়ি শিল্পের চাপের মুখে ইউরোপীয় কমিশন ২০৩৫ সাল থেকে কমবাসশন ইঞ্জিনচালিত নতুন গাড়ি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত শিথিল করার প্রস্তাব দিয়েছে। এতে বৈদ্যুতিক গাড়ির উপর নির্ভরশীল কঠোর নীতি থেকে কিছুটা সরে এসে নির্গমন কমানোর লক্ষ্যকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।
নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী, ২০৩৫ সালের মধ্যে শতভাগ শূন্য নির্গমন বাধ্যবাধকতা আর থাকছে না। বরং ২০২১ সালের তুলনায় কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গমন ৯০ শতাংশ কমালেই চলবে। এতে প্লাগ-ইন হাইব্রিড ও রেঞ্জ এক্সটেন্ডারসহ কিছু নন-ইলেকট্রিক গাড়ির বিক্রির সুযোগ থাকবে।
জার্মানি, ইতালি এবং ইউরোপের শীর্ষ অটোমেকারদের চাপের ফলে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইউরোপীয় কোম্পানিগুলো বৈদ্যুতিক গাড়ির বাজারে টেসলা ও চীনা নির্মাতাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ায় দীর্ঘদিন ধরে সময় ও নীতিগত ছাড়ের দাবি জানাচ্ছিল।
প্রস্তাবিত নীতিতে অবশিষ্ট নির্গমন পূরণের জন্য লো-কার্বন স্টিল, সিনথেটিক ই-ফুয়েল এবং কৃষি বর্জ্য বা ব্যবহৃত রান্নার তেল থেকে তৈরি বায়োফুয়েল ব্যবহারের সুযোগ থাকবে।
ইইউর জলবায়ু কমিশনার ইউরোপীয় পার্লামেন্টে বলেছেন, বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় ইউরোপকে আরও দ্রুত এগোতে হবে। তবে সমালোচকরা এটিকে গত পাঁচ বছরে নেয়া ইইউর সবুজ নীতির সবচেয়ে বড় পিছ পা হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
নতুন প্রস্তাব কার্যকর হলে ২০৩০ থেকে ২০৩২ সালের মধ্যে গাড়ির নির্গমন কমানোর লক্ষ্য ৫৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হবে। ভ্যানের ক্ষেত্রে ২০৩০ সালের লক্ষ্য ৫০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৪০ শতাংশ করা হবে। সিদ্ধান্তটি এখন ইইউ সদস্য রাষ্ট্র ও ইউরোপীয় পার্লামেন্টের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।


