ঢাকাবৃহস্পতিবার , ১৩ নভেম্বর ২০২৫
  • অন্যান্য

সাভারে ডিগ্রেডেড এয়ারশেড বাস্তবায়নে অভিযান: অবৈধ ইটভাটা বন্ধ, ১২ লাখ টাকা জরিমানা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নভেম্বর ১৩, ২০২৫ ১১:৩৩ পূর্বাহ্ণ । ৫৫ জন

বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ ও ঘোষিত ডিগ্রেডেড এয়ারশেড বাস্তবায়নে সাভারে পরিচালিত বিশেষ অভিযানে একাধিক অবৈধ ইটভাটা বন্ধ ও জরিমানা করা হয়েছে। বুধবার (১২ নভেম্বর) পরিবেশ অধিদপ্তর, ঢাকা জেলা কার্যালয় এবং সদর দপ্তরের মনিটরিং অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট শাখার যৌথ উদ্যোগে এ অভিযান পরিচালিত হয়।

অভিযানে সাভারের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের মুশুরীখোলা এলাকার মেসার্স এ বি এম অ্যান্ড কোং ইটভাটা চালু অবস্থায় পাওয়া গেলে ভাটার চিমনি ভেঙে দেওয়া হয় ও কাঁচা ইট গুড়িয়ে ফেলা হয়। পাশাপাশি বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে মালিককে ৬ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

এছাড়া, ভাকুর্তা ইউনিয়নের শ্যামলাসি এলাকার এ বি এন ব্রিকস এবং চাপড়া এলাকার এইচ এম বি স্টার ব্রিকস নামের দুটি ইটভাটার চিমনি সম্পূর্ণরূপে ভেঙে কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। উভয় ভাটাকে প্রতিটিকে ৬ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়। একই এলাকায় অবস্থিত মেসার্স এম এইচ এস ব্রিকস ইটভাটার চিমনি ভেঙে কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। অভিযানে সংশ্লিষ্ট সব ভাটার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে মিটার খুলে নেওয়া হয়।

অন্যদিকে, বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ লঙ্ঘনের দায়ে পঞ্চগড়ে নিষিদ্ধ পলিথিন উৎপাদন, বিক্রয়, সরবরাহ ও বাজারজাতকরণের বিরুদ্ধে একটি মোবাইল কোর্ট অভিযান চালানো হয়। এতে দুটি মামলায় ৪ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা এবং ২১৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করা হয়। একই সঙ্গে বাজার ও দোকান মালিকদের সতর্ক করা হয় এবং সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়।

এছাড়া, যানবাহন থেকে অতিরিক্ত কালো ধোঁয়া নির্গমন রোধে ঢাকার লালবাগ এলাকায় পরিবেশ অধিদপ্তরের মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করে ৫টি মামলায় ১৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয় এবং কয়েকজন চালককে সতর্ক করা হয়।

শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা, ২০০৬ অনুযায়ী ঢাকার শ্যামলী এলাকা ও পঞ্চগড়ে পরিচালিত ২টি অভিযানে ৪টি মামলায় ১১ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় এবং ৪টি হাইড্রোলিক হর্ন জব্দ করা হয়।

তদুপরি, বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা, ২০২২ অনুযায়ী নির্মাণ সামগ্রী দ্বারা বায়ুদূষণ রোধে আজ ঢাকা মহানগরের আফতাবনগর, বসিলা, নারায়ণগঞ্জ, পঞ্চগড়, মুন্সীগঞ্জ ও সিরাজগঞ্জ জেলায় পরিচালিত ৬টি অভিযানে ১০টি মামলায় ২২ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকদের সতর্ক করা হয় এবং নির্মাণ সামগ্রী তাৎক্ষণিকভাবে সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়।

পরিবেশ অধিদপ্তর জানায়, পরিবেশ রক্ষা ও বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।