ঢাকাসোমবার , ৮ ডিসেম্বর ২০২৫
  • অন্যান্য

টাইফয়েড টিকায় বিশ্বে অষ্টম দেশের কাতারে বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
ডিসেম্বর ৮, ২০২৫ ১০:৩০ পূর্বাহ্ণ । ১০৪ জন

বাংলাদেশে টাইফয়েড প্রতিরোধে বড় ধরনের সাফল্য এসেছে। দেশের ৯৭ শতাংশ শিশু টাইফয়েড টিকা পেয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘ শিশু তহবিল—ইউনিসেফের বাংলাদেশ প্রতিনিধি রানা ফ্লাওয়ার্স। রোববার (৭ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এ তথ্য প্রকাশ করেন।

বিবৃতিতে রানা ফ্লাওয়ার্স জানান, টাইফয়েড কনজুগেট ভ্যাকসিন (টিসিভি) ক্যাম্পেইন ২০২৫–এর মাধ্যমে চার কোটি ২৫ লাখের বেশি শিশুকে সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, এই অসামান্য অর্জন প্রমাণ করে যে শিশুদের প্রতিরোধযোগ্য মৃত্যু ও কষ্ট থেকে রক্ষা করতে বাংলাদেশ সরকার অত্যন্ত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। পাশাপাশি শিশু গুরুতর অসুস্থ হলে যে অর্থনৈতিক ও মানসিক চাপ পরিবারকে সহ্য করতে হয়, সেখান থেকেও পরিবারগুলোকে সুরক্ষা দিতে সরকার কাজ করছে।

রানা ফ্লাওয়ার্স আরও বলেন, টিসিভি কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে টাইফয়েড প্রতিরোধে বিশ্বে অগ্রগামী দেশের তালিকায় উঠে এসেছে বাংলাদেশ। জীবন রক্ষাকারী টিসিভি প্রচার কার্যক্রম শুরু করা বিশ্বের অষ্টম দেশ এখন বাংলাদেশ।

তিনি উল্লেখ করেন, ইউনিসেফের সহায়তায় বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) পরিচালিত মাল্টিপল ইন্ডিকেটর ক্লাস্টার সার্ভে (এমআইসিএস)–এর সর্বশেষ তথ্যে দেখা গেছে, দেশে মাত্র ৩৯ শতাংশ মানুষের নিরাপদ পানি পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। আরও উদ্বেগজনক বিষয় হলো, পানির সব উৎসের প্রায় ৪৭ শতাংশে ই-কোলাই ব্যাকটেরিয়ার দূষণ পাওয়া গেছে।

রানা ফ্লাওয়ার্স বলেন, পরিবারের ব্যবহার করা পানির নমুনায় প্রায় ৮৫ শতাংশ ক্ষেত্রে ই-কোলাই ব্যাকটেরিয়া পাওয়া যায়। এ কারণে লাখ লাখ শিশু টাইফয়েডসহ জলবাহিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকে। প্রতিদিন একটি শিশুর জন্য সাধারণ এক গ্লাস পানি পর্যন্ত বিপদের কারণ হতে পারে। তাই বাংলাদেশের শিশুদের সুরক্ষায় টাইফয়েড টিকা কর্মসূচি চালু করতে ইউনিসেফ সহযোগিতা দিয়েছে।

বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, প্রতিটি পরিবারের জন্য নিরাপদ পানি নিশ্চিত করার আগ পর্যন্ত শিশুদের গুরুতর অসুস্থতা থেকে সুরক্ষা এবং বাবা-মাকে দুশ্চিন্তামুক্ত রাখতে টিসিভি একটি কার্যকর ব্যবস্থা। বাংলাদেশের জনগণ, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং ইপিআই–এর নেতৃত্ব ও কার্যকর সমন্বয় এই কর্মসূচিকে সফল করেছে। পাশাপাশি টিকা নিয়ে গুজবের সময় গণমাধ্যম জনগণকে নির্ভুল তথ্য দিয়ে আস্থা জুগিয়েছে।