মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আওতা আরও সম্প্রসারণ করেছেন। নতুন করে ছয়টি দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এই তালিকায় সিরিয়ার পাশাপাশি ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের ইস্যু করা ভ্রমণ নথিপত্রধারীরাও রয়েছেন বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ড।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে হোয়াইট হাউস জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এটি অভিবাসন নীতি কঠোর করার বিষয়ে ট্রাম্পের দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অবস্থানের অংশ।
হোয়াইট হাউস আরও জানায়, বিদেশি নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ আরও সীমিত ও নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প একটি নতুন প্রোক্লামেশনে স্বাক্ষর করেছেন।
টিআরটি ওয়ার্ল্ডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন ঘোষণার আওতায় বুরকিনা ফাসো, মালি, নাইজার, দক্ষিণ সুদান ও সিরিয়ার নাগরিকদের ওপর সম্পূর্ণ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হয়েছে। একই সঙ্গে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের ইস্যু করা ভ্রমণ নথিপত্রধারীদের ক্ষেত্রেও যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এর আগে আরও ১২টি দেশ ইতোমধ্যে এই নিষেধাজ্ঞার তালিকায় ছিল।
ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরেই দাবি করে আসছেন, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষায় কঠোর অভিবাসন নীতি অপরিহার্য। সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাকে তিনি তার রাজনৈতিক কর্মসূচির অন্যতম প্রধান বিষয় হিসেবে তুলে ধরেছেন। তবে নতুন এই নিষেধাজ্ঞা কতদিন কার্যকর থাকবে বা বিশেষ কোনো ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হবে কি না-সে বিষয়ে হোয়াইট হাউস বিস্তারিত কিছু জানায়নি।
এর আগেও ট্রাম্প তার প্রেসিডেন্সির সময় একাধিকবার ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি ও সম্প্রসারণ করেছেন। এসব সিদ্ধান্ত মানবাধিকার সংগঠনগুলোর তীব্র সমালোচনা এবং আইনি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়লেও ট্রাম্প প্রশাসন বরাবরই এসব পদক্ষেপকে বৈধ ও প্রয়োজনীয় বলে দাবি করে এসেছে।
উল্লেখ্য, গত জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে ট্রাম্প একটি নির্বাহী আদেশে ১২টি দেশের নাগরিকদের ওপর পূর্ণ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। সে সময় আংশিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয় আরও সাতটি দেশের ওপর। তখন সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা দেশগুলো ছিল-আফগানিস্তান, মিয়ানমার, চাদ, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, ইকুয়েটোরিয়াল গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও ইয়েমেন।
এ ছাড়া আংশিক নিষেধাজ্ঞার তালিকায় ছিল বুরুন্ডি, কিউবা, লাওস, সিয়েরা লিওন, টোগো, তুর্কমেনিস্তান ও ভেনেজুয়েলা।
নির্বাহী আদেশ জারির সময় ট্রাম্প বলেছিলেন, “আমার দায়িত্ব যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা ও জনগণের স্বার্থ রক্ষা করা। দেশের নিরাপত্তা এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি হুমকির মুখে-এই কারণেই আমি এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছি।”


