ঢাকাবুধবার , ১০ ডিসেম্বর ২০২৫

ঘন কুয়াশা আর ঠান্ডায় বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গের পঞ্চগড়

নিজস্ব প্রতিবেদক
ডিসেম্বর ১০, ২০২৫ ১০:৪৩ পূর্বাহ্ণ । ২৬ জন

হিমালয়ের নিকটবর্তী হওয়ায় দেশের উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে কয়েক দিন ধরে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে। উত্তর দিক থেকে নেমে আসা হিমেল বাতাস ও ঘন কুয়াশায় সাধারণ মানুষ পড়েছেন চরম দুর্ভোগে। টানা পাঁচ দিন ধরে জেলার তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে ঘোরাফেরা করছে।

বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৭৭ শতাংশ। এর তিন ঘণ্টা আগে সকাল ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তেঁতুলিয়া প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায়।

শীতের তীব্রতা বাড়ায় জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। বিশেষ করে খেটে-খাওয়া পাথরশ্রমিক, চা-শ্রমিক, রিকশা-ভ্যানচালক এবং কৃষিজীবীরা সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন। কনকনে ঠান্ডার কারণে দৈনন্দিন আয় কমে গেছে শ্রমজীবী মানুষের। সকালে ঠান্ডা বাতাসে কাবু হয়ে অনেকে গরম কাপড় পরে বের হলেও অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে উষ্ণতার চেষ্টা করছেন। ঘন কুয়াশার কারণে সড়ক-মহাসড়কে যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।

শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। সদর হাসপাতালের বহির্বিভাগে প্রতিদিন গড়ে তিন শতাধিক রোগী কাশি, সর্দি, শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন সমস্যায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। শিশু ও বয়স্করা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায়। রোগীর চাপ বাড়ায় অনেকেই হাসপাতালের মেঝে বা বারান্দায় জায়গা নিতে বাধ্য হচ্ছেন।

জিতেন্দ্র নাথ রায় জানান, চলতি মাসের শুরু থেকে মাঝামাঝি সময়ে এক বা দুইটি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। তাই তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি।