ঢাকাসোমবার , ৮ ডিসেম্বর ২০২৫
  • অন্যান্য

সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগের আহ্বান ফরিদা আখতারের

নিজস্ব প্রতিবেদক
ডিসেম্বর ৮, ২০২৫ ৫:১৩ অপরাহ্ণ । ৩৭ জন

বাংলাদেশের সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ রক্ষায় সব পক্ষকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেন, “মাছ শুধু বাণিজ্যিক পণ্য নয়, এটি মানুষের খাদ্য নিরাপত্তার মূল উপাদান।” ক্ষতিকর জালের ব্যবহারকে তিনি সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্যের সবচেয়ে বড় হুমকি হিসেবে উল্লেখ করেন।

সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও-এ ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন সোসাইটি (ডব্লিউসিএস) এবং ওয়ার্ল্ডফিশ আয়োজিত ‘হেলদি ওশান’ ইনসেপশন কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব বলেন তিনি।

উপদেষ্টা জানান, কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী ও মৎস্য অধিদফতরসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো কাজ করলেও বাণিজ্যিকভাবে মাছ আহরণের পাশাপাশি মানুষের খাদ্য নিরাপত্তাকেও সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে।

তিনি সতর্ক করে বলেন, ফাঁস জাল ও বেহেন্দি জালের মতো নিষিদ্ধ জাল সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য ধ্বংস করছে। এসব জালে বিভিন্ন আকারের মাছ আটকা পড়ে মারা যায়, ফলে মাছের মজুদ দ্রুত কমছে।

বঙ্গোপসাগরের পরিস্থিতি তুলে ধরে তিনি বলেন, ড. ফ্রিটজফ নানসেনের জরিপ অনুযায়ী গত সাত বছরে সাগরে মাছের প্রাপ্যতা কমেছে প্রায় ৭৮ শতাংশ। পাশাপাশি অক্সিজেনের ঘাটতি ও প্লাস্টিক দূষণ মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে সাম্প্রতিক জরিপে সাগরে নতুন ৬৫টি মাছের প্রজাতি শনাক্ত হয়েছে, যার মধ্যে পাঁচটি বিশ্বে আগে কখনও শনাক্ত হয়নি-এটি ইতিবাচক অগ্রগতি।

অতিরিক্ত আহরণ রোধে কঠোর বিধিনিষেধের ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, “বড় জাহাজ নিয়ে যা খুশি ধরার সুযোগ রাখা যাবে না। সবাইকে নিয়মের আওতায় আনতে হবে।” তিনি জালের ফাঁস নিয়ন্ত্রণ ও আহরণ প্রযুক্তি উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কমোডর শেখ মাহমুদুল হাসান এবং মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুর রউফ।

স্বাগত বক্তব্য দেন ডব্লিউসিএস বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম ও ওয়ার্ল্ডফিশ বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. ফারুক-উল ইসলাম।