ঢাকাসোমবার , ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫
  • অন্যান্য

আগাম আলু চাষে ঝুঁকছেন চাঁদপুরের কৃষকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
ডিসেম্বর ১৫, ২০২৫ ৪:০৮ অপরাহ্ণ । ২১ জন

চাঁদপুরের দুটি সেচ প্রকল্প এলাকাসহ জেলার আট উপজেলায় আলু বপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। অনুকূল আবহাওয়ার কারণে দ্রুত জমি প্রস্তুত করে বপনকাজ এগিয়ে নিচ্ছেন তারা। চলতি মৌসুমে জেলায় ৭ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে আলু আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি বিভাগ। কৃষকদের আশা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এ বছর ভালো ফলন হবে।

সম্প্রতি জেলা সদর, হাইমচর, মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণ উপজেলার বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, সকাল থেকে কৃষকরা জমি প্রস্তুত ও আলু বপনের কাজে ব্যস্ত। কেউ নিজে কাজ করছেন, আবার অনেকেই শ্রমিক নিয়ে মাঠে নেমেছেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর জেলায় ৮ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে আলু আবাদ হলেও এ বছর লক্ষ্যমাত্রা এক হাজার হেক্টর কমানো হয়েছে। ইতোমধ্যে সাড়ে ৪ হাজার হেক্টর জমিতে আলু বপন সম্পন্ন হয়েছে। তবে পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে আবাদ কিছুটা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।

জেলায় সবচেয়ে বেশি আলু আবাদ হয় মতলব দক্ষিণ উপজেলায়। এরপর কচুয়া ও সদর উপজেলা। এই তিন উপজেলায় প্রায় ৫ হাজার হেক্টর জমিতে আলু আবাদ হয়ে থাকে। সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের দনপর্দি গ্রামে মাঠজুড়ে চলছে আলু বপন। এখানকার কৃষকরা জানান, গত বছর আলুর দাম ভালো না পেলেও জমির উপযোগিতার কারণে বাধ্য হয়েই এ বছরও আলু আবাদ করছেন।

এদিকে মতলব উত্তর উপজেলার উঁচু জমি, নদীতীরবর্তী এলাকা ও চরাঞ্চলে আগাম জাতের আলু বপন শুরু হয়েছে। কৃষকদের ধারণা, আগাম উৎপাদন হলে বাজারে ভালো দাম পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে আলু বপনের কার্যক্রম।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তারা জানান, কৃষকদের উৎপাদন বাড়াতে প্রশিক্ষণ, মানসম্মত বীজ নির্বাচন, সুষম সার ব্যবহার, রোগবালাই দমন ও আধুনিক প্রযুক্তি প্রয়োগে মাঠপর্যায়ে নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

মতলব উত্তর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফয়সাল মোহাম্মদ আলী বলেন, “এ এলাকায় আলু একটি লাভজনক অর্থকরী ফসল। সেচ সুবিধা ও মাটির গুণাগুণ ভালো হওয়ায় কৃষকরা আলু চাষে আগ্রহী। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর বাম্পার ফলনের আশা করছি।”

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের চাঁদপুর জেলা উপপরিচালক মোহাম্মদ আবু তাহের বলেন, “গত বছর আলুর দাম কম পাওয়ায় এ বছর লক্ষ্যমাত্রা কিছুটা কমেছে। অনেক কৃষক আবাদ কমিয়ে বোরো ধানের দিকে ঝুঁকছেন। তবে আবহাওয়া ভালো থাকলে এ বছরও আলুর ফলন সন্তোষজনক হবে বলে আমরা আশাবাদী।”