ঢাকাসোমবার , ২ জুন ২০২৫

বাজেট প্রতিক্রিয়া

তামাকজাত দ্রব্যের মূল্য ও কর হার বৃদ্ধি না পাওয়ায় জনস্বাস্থ্য উপেক্ষিত : বিএনটিটিপি

নিজস্ব প্রতিবেদক
জুন ২, ২০২৫ ৬:০৩ অপরাহ্ণ । ১৪২ জন

অন্তর্বর্তী সরকারের বাজেট প্রস্তাবে তামাকজাত দ্রব্যের মূল্য ও কর হার বৃদ্ধি না পাওয়ায় জনস্বাস্থ্যকে উপেক্ষা করা হয়েছে। এতে তামাকজনিত রোগে ব্যয় বৃদ্ধির পাশাপাশি সরকার রাজস্ব হারাবে বলে মনে করে বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ফর টোব্যাকো ট্যাক্স পলিসি (বিএনটিটিপি)। বাজেট প্রতিক্রিয়া জানাতে আজ সোমবার (২ জুন ২০২৫) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তারা একথা জানায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় সিগারেট, বিড়ি ও জর্দা ও গুলের ওপর অগ্রিম কর ৩ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। একইসঙ্গে বাণিজ্যিকভাবে আমদানি করা সিগারেট পেপারের ওপর সম্পূরক শুল্ক দ্বিগুণ করে ১৫০ থেকে বাড়িয়ে ৩০০ শতাংশ করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। এগুলো অত্যন্ত ইতিবাচক হলেও কোনো ধরনের তামাকজাত দ্রব্যেই মূল্য ও কর হার বৃদ্ধি করা হয়নি। এতে দেশের জনস্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

এবারের বাজেট প্রস্তাবে সবধরনের তামাকজাত দ্রব্যের মূল্য ও কর হার বৃদ্ধির সুযোগ থাকলেও সেটা কাজে লাগায়নি এনবিআর। দেশের মূল্যস্ফিতি ও মানুষের ক্রয় সামর্থ বৃদ্ধি বিবেচনায় নিলে সিগারেটসহ সব ধরনের তামাকজাত দ্রব্যের মূল্য ও কর হার বৃদ্ধি না করায় এসব দ্রব্য আরও সস্তা করে তুলবে। একইসঙ্গে তামাকের ব্যবহার কমাতে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং এনবিআরের লক্ষ্য অর্জনকে এ বাজেট প্রস্তাব বাধাগ্রস্ত করবে বলেও মনে করে বিএনটিটিপি।

বাজেট প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বিএনটিটিপির আহ্বায়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. রুমানা হক বলেন, প্রতিবছরের মতো এবারের বাজেটেও তামাকজাত দ্রব্যের ওপর করারোপে ত্রুটিপূর্ণ অ্যাডভেলোরেম পদ্ধতি বহাল রাখা হয়েছে। আমরা প্রত্যাশা করেছিলাম অ্যাডভেলোরেম পদ্ধতির পরিবর্তে এবার তামাকজাত দ্রব্যে সুনির্দিষ্ট কর আরোপ করা হবে। আর সেটা করা হলে সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধির পাশাপাশি তামাকের ব্যবহার কমাতেও কার্যকর অবদান রাখতো। পাশাপাশি তামাক কোম্পানির কর ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ কমতো। তামাকের ক্ষেত্রে এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে জনস্বাস্থ্যকে উপেক্ষা করা হয়েছে।

এজন্য তিনি এনবিআরকে তামাক নিয়ন্ত্রণ বিশেষজ্ঞদের প্রস্তাবিত কর প্রস্তাব অনুসারে ‘বাজেট প্রস্তাব’ সংশোধনের পরামর্শ দেন।