ঢাকাশনিবার , ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫
  • অন্যান্য

পঞ্চগড়ে তীব্র শীতের দাপট, তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯.৩ ডিগ্রি

নিজস্ব প্রতিবেদক
ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫ ১০:৪৫ পূর্বাহ্ণ । ৩৫ জন

কাঞ্চনজঙ্ঘা-হিমালয় পর্বতের নিকটবর্তী হওয়ায় উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে বয়ে আসা হিমশীতল বাতাসে পঞ্চগড় জেলাজুড়ে কয়েকদিন ধরেই তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। মৃদু শৈত্যপ্রবাহে নাকাল হয়ে পড়েছে জেলার সাধারণ মানুষ।

শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৭ শতাংশ। এর তিন ঘণ্টা আগে সকাল ৬টাতেও একই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।

আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, সন্ধ্যার পর থেকেই উত্তরের এই জেলায় হিমেল বাতাস ও কুয়াশা বাড়তে থাকে। দিনভর উত্তরের ঠান্ডা বাতাসের কারণে সূর্যের তেজ ছড়াতে না পারায় দিনের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান কমে যাচ্ছে। ফলে কনকনে শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

ঘন কুয়াশার কারণে সড়ক ও মহাসড়কে যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। কনকনে শীতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়ছেন খেটে খাওয়া মানুষ। সকালবেলা অনেকেই গরম কাপড় পরে বের হচ্ছেন, আবার কেউ কেউ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।

এদিকে, হিমালয় থেকে বয়ে আসা হিমশীতল বাতাসের প্রভাবে শীতজনিত রোগব্যাধিও বাড়ছে। জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোতে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। চিকিৎসকরা শীত থেকে বাঁচতে প্রয়োজনীয় সতর্কতা ও পরামর্শ দিচ্ছেন।

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় জানান, শুক্রবারের মতো শনিবারও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী দিনে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলেও তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।