বিশ্বের বিভিন্ন শহরে দ্রুত বাড়ছে বায়ুদূষণ। দীর্ঘদিন ধরেই মেগাসিটি ঢাকা দূষণের শীর্ষ তালিকায় অবস্থান করছে। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল ৮টার দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণ প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, ২৪১ একিউআই স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে রাজধানী ঢাকা। এই স্কোর নাগরিকদের জন্য ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকির ইঙ্গিত দেয়।
আইকিউএয়ারের সর্বশেষ তালিকায় দূষিত শহরের শীর্ষে রয়েছে ইরাকের বাগদাদ। শহরটির একিউআই স্কোর ২৭৩, যা অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর বায়ুর নির্দেশক। ভারতের রাজধানী দিল্লি ২৬৫ স্কোর নিয়ে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। এই দুই শহরের পাশাপাশি এ অঞ্চলের আরও বেশ কয়েকটি শহরও অস্বাস্থ্যকর বায়ুর কারণে উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে।
ভারতের কোলকাতা ১৯৫ স্কোর নিয়ে তালিকার চতুর্থ স্থানে অবস্থান করছে, যা ‘অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ের বায়ুমান নির্দেশ করে। মুম্বাইয়ের স্কোর ১৬৫, যা একিউএয়ারের তালিকায় শহরটিকে অষ্টম স্থানে রেখেছে। পাকিস্তানের লাহোর ১৮৯ স্কোর নিয়ে তালিকার পঞ্চম এবং করাচি ১৮৭ স্কোর নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে। এ শহরগুলোতেও বায়ুদূষণের পরিস্থিতি দ্রুতই স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়াচ্ছে।
একিউআই মানদণ্ড অনুযায়ী, ০ থেকে ৫০ স্কোর ভালো, ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি, ১০১ থেকে ১৫০ সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং ১৫১ থেকে ২০০ অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। ২০১ থেকে ৩০০ স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়, আর ৩০১ থেকে ৪০০ স্কোরকে ধরা হয় ‘ঝুঁকিপূর্ণ’, যা নাগরিকদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি সৃষ্টি করে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ মাত্রার বায়ুদূষণের মধ্যে শিশু, প্রবীণ ও অসুস্থ মানুষদের বাইরে কম বের হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। সাধারণ মানুষকেও বাইরের কার্যক্রম সীমিত রাখতে বলা হয়। ঢাকার বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে স্বাস্থ্যঝুঁকি আরও বাড়বে বলে সতর্ক করেছেন পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা।


