খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব বড়দিন উপলক্ষে দেশব্যাপী বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। উৎসবকে ঘিরে যেকোনো ধরনের নাশকতা, বিশৃঙ্খলা ও অপতৎপরতা প্রতিরোধে গত ২৩ ডিসেম্বর থেকে সারাদেশে গোয়েন্দা নজরদারি ও নিরাপত্তা কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) র্যাব থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
র্যাব জানিয়েছে, বড়দিনের অনুষ্ঠান নির্বিঘ্ন ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে গুরুত্বপূর্ণ গির্জা, উপাসনালয় ও অনুষ্ঠানস্থলে পর্যাপ্ত সংখ্যক র্যাব সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। একই সঙ্গে র্যাব ডগ স্কোয়াড ও বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট নিয়মিত সুইপিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে। যেকোনো জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় র্যাব স্পেশাল ফোর্সের কমান্ডো দল সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রয়েছে।
মেট্রোপলিটন শহর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ চার্চ ও স্পর্শকাতর এলাকায় চেকপোস্ট স্থাপন, টহল জোরদার এবং সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। পাশাপাশি নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের আশঙ্কা থাকলে আগাম তথ্য সংগ্রহ করে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
র্যাব আরও জানিয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে গুজব ও মিথ্যা তথ্য ছড়ানো প্রতিরোধে সাইবার মনিটরিং টিম সার্বক্ষণিক নজরদারি চালাচ্ছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের অপচেষ্টা করলে সংশ্লিষ্টদের আইনের আওতায় আনা হবে।
গির্জা ও অনুষ্ঠানস্থলে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইভটিজিং ও হয়রানি প্রতিরোধে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বড়দিন উদযাপন কমিটির স্বেচ্ছাসেবক, সিসিটিভি মনিটরিং এবং র্যাব সদস্যদের সমন্বয়ে তল্লাশি কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
এছাড়া বড়দিন উপলক্ষে বিদেশি কূটনৈতিক মিশনের কর্মকর্তা, ভিআইপি ব্যক্তিবর্গ ও ধর্মীয় নেতাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ঝুঁকি মূল্যায়নের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। রাজধানীর বনানী, গুলশান, উত্তরা, হাতিরঝিলসহ অভিজাত এলাকা, হোটেল ও ক্লাব, পাশাপাশি কক্সবাজার ও কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে বিশেষ নজরদারি রাখা হয়েছে।
র্যাব সদর দপ্তর থেকে একটি কেন্দ্রীয় কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে সারাদেশের নিরাপত্তা কার্যক্রম সমন্বয় করা হচ্ছে। কন্ট্রোল রুমের হটলাইন নম্বর: ০১৭৭৭৭২০০২৯। বড়দিনকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের নাশকতার তথ্য পাওয়া গেলে র্যাবকে অবহিত করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
এদিকে বড়দিন উপলক্ষে পটকা, আতশবাজি ও আগুন দ্বারা চালিত ফানুস উড়ানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
র্যাব জানিয়েছে, অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে এবারও সারাদেশে বড়দিন শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপিত হবে বলে তারা আশাবাদী।


