ঢাকাসোমবার , ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫
  • অন্যান্য

নিরাপদ চিংড়ি উৎপাদন নিশ্চিত করা জরুরি: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক
ডিসেম্বর ১৫, ২০২৫ ৫:৩৬ অপরাহ্ণ । ৩৬ জন

চিংড়ির উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি নিরাপদ ও মানসম্মত উৎপাদন নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে গুড অ্যাকুয়াকালচার প্র্যাকটিস অনুসরণ এবং অ্যান্টিবায়োটিকমুক্ত চিংড়ি উৎপাদনের কোনো বিকল্প নেই।

সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে চকরিয়া উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের রামপুর মৌজায় অবস্থিত ৪৮ একর আয়তনের একটি প্রদর্শনী চিংড়ি খামারে মৎস্য অধিদপ্তরের আওতাধীন সরকারি চিংড়ি এস্টেটের ইজারাগ্রহীতা ও চিংড়ি চাষিদের সঙ্গে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মৎস্য উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী বাগদা চিংড়ি আন্তর্জাতিকভাবে একটি স্বতন্ত্র পরিচয় বহন করে। এ সুনাম ধরে রাখতে নিরাপদ উৎপাদন নিশ্চিত করা সবার দায়িত্ব। অন্যথায় রপ্তানি বাজারে বাগদা চিংড়ি ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে। একই সঙ্গে তিনি চিংড়ি চাষের সঙ্গে ম্যানগ্রোভ বা প্যারাবন সংরক্ষণ এবং সঠিক পরিবেশ ব্যবস্থাপনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

চিংড়ি চাষিদের নিরাপত্তা, ভূমি ব্যবস্থাপনা ও অবকাঠামোগত সমস্যার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয়ের আশ্বাস দিয়ে ফরিদা আখতার বলেন, সরকার ও চাষিদের যৌথ প্রচেষ্টায় বাগদা চিংড়িকে দেশীয় চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খাতে পরিণত করা সম্ভব।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন মৎস্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. জিয়া হায়দার চৌধুরী, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. হেমায়েত হোসেন, যুগ্ম সচিব ড. আবু নঈম মুহাম্মদ আবদুছ ছবুর, মৎস্য অধিদপ্তরের পরিচালক ড. মো. মোতালেব হোসেন, কক্সবাজার চিংড়ি চাষ সম্প্রসারণ অঞ্চলের উপপরিচালক অধীর চন্দ্র দাস এবং জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. নাজমুল হুদা। এছাড়া বিভিন্ন প্রকল্পের ইজারাগ্রহীতা, চিংড়ি চাষি, মৎস্যজীবী ও স্থানীয় জনগণ সভায় অংশ নেন।

উল্লেখ্য, কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার রামপুর মৌজায় অবস্থিত মৎস্য অধিদপ্তরাধীন ৭ হাজার ২১ দশমিক ৭৬ একর আয়তনের চিংড়ি এস্টেটটি পর্যায়ক্রমে অধিদপ্তরের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এর মধ্যে ১৯৭৮ সালে ৫ হাজার একর এবং ১৯৮২ সালে ২ হাজার ২১ দশমিক ৭৬ একর জমি হস্তান্তর করা হয়। পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (আইডিএ) ও এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)-এর অর্থায়নে এসব জমি প্লট আকারে উন্নয়ন করে বর্তমানে দীর্ঘমেয়াদি ইজারার মাধ্যমে পরিচালনা করা হচ্ছে।

এর আগে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বদরখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ মগনামা পাড়ায় অবস্থিত শিখি পড়ি বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন এবং স্থানীয়দের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।