দেশের জ্বালানি খাতের উন্নয়ন, নীতি-সংস্কার এবং সবুজ রূপান্তরকে সামনে রেখে আয়োজন করা হচ্ছে ‘তৃতীয় বাংলাদেশ জ্বালানি সম্মেলন ২০২৫’। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিজয় সরণিস্থ বাংলাদেশ সামরিক জাদুঘরে তিন দিনব্যাপী এ সম্মেলনের উদ্বোধন হবে। চলবে আগামী ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বেনজির আহমেদ, নিয়াজ মাহমুদ, হামিদুল ইসলাম, মঞ্জুর মওলা, মাহবুব আলম প্রিন্স প্রমুখ।
আয়োজকদের তথ্যানুযায়ী, দেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলোর যৌথ উদ্যোগে ২০২৩ সালে প্রথম বাংলাদেশ জ্বালানি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ২০২৪ সালে দ্বিতীয় সম্মেলনে অংশ নেন প্রায় চার শতাধিক প্রতিনিধি। এবারের সম্মেলনেও নীতিনির্ধারক, সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, গবেষণা প্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয়, আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী, নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিনিয়োগকারীসহ বিভিন্ন পেশার প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত এক বছরে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বেশ কিছু ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে। নতুন কোনো জীবাশ্ম জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র অনুমোদন হয়নি, বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর জন্য ১০ বছর কর অবকাশ দেওয়া হয়েছে এবং ৫ হাজার ২৩৮ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুতের দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। পাশাপাশি ২০২৬ সালের মধ্যে ৩ হাজার মেগাওয়াট ছাদভিত্তিক সৌরবিদ্যুৎ স্থাপনের কর্মসূচিও হাতে নিয়েছে সরকার।
তবে আয়োজকরা উদ্বেগ প্রকাশ করেন যে, এ বছর ২ হাজার ২২০ মেগাওয়াট নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র চালুর অনুমোদন, ক্রমবর্ধমান এলএনজি আমদানি ব্যয় এবং মাতারবাড়িতে নতুন কয়লাভিত্তিক কেন্দ্র নির্মাণ-এসব উদ্যোগ দেশের জ্বালানি রূপান্তরের লক্ষ্যকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। তাদের মতে, এনডিসি ৩.০ অনুযায়ী নতুন জীবাশ্ম জ্বালানিনির্ভর কেন্দ্রের প্রয়োজন নেই। সেই সঙ্গে নারী, তরুণ, শ্রমজীবী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ এখনো নিশ্চিত না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেন আয়োজকরা।
লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, বাংলাদেশের প্রতিবেশ ও উন্নয়ন বিষয়ক কর্মজোট (বিডব্লিউডিইডি) এবং আরও ১৬টি সহ-আয়োজক সংগঠন এ সম্মেলনের আয়োজন করছে। এর মধ্যে রয়েছে-একশনএইড বাংলাদেশ, বেলা, ব্রাইট গ্রীন এনার্জি ফাউন্ডেশন, সিপিডি, ক্রেসল, ক্লিন, দি আর্থ, ইটিআইসহ আরও কয়েকটি সংগঠন।
আগামী ৬–৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য এ সম্মেলনে জ্বালানি রূপান্তর, নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ, সবুজ প্রবৃদ্ধি, জলবায়ু নীতি ও বিদ্যুৎ বাজার সংস্কার নিয়ে একাধিক সেশন, আলোচনাপর্ব ও কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবে।


