ঢাকাবৃহস্পতিবার , ১১ ডিসেম্বর ২০২৫

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী দ্রুত পাসের দাবি যুব ফোরামের

নিজস্ব প্রতিবেদক
ডিসেম্বর ১১, ২০২৫ ৩:৪২ অপরাহ্ণ । ৪১ জন

জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনী দ্রুত পাসের দাবি জানিয়েছে ডব়্প যুব ফোরাম। আগামী প্রজন্মকে তামাকের ভয়াবহ ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে তারা দ্রুত আইনি সংশোধনীর বাস্তবায়নের আহ্বান জানায়।

বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর মিরপুর ১০ নম্বর এলাকায় আয়োজিত মানববন্ধনে সংগঠনটির নেতারা বলেন, টোব্যাকো অ্যাটলাস ২০২৫ অনুযায়ী বাংলাদেশে প্রতিবছর তামাকজনিত কারণে ১ লাখ ৩০ হাজার মানুষের মৃত্যু ঘটে এবং লাখো মানুষ অসুস্থ হয়। তামাকের কারণে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, ক্যানসারসহ অসংক্রামক রোগের হার ক্রমেই বাড়ছে।

তারা অভিযোগ করে বলেন, সরকারের কিছু পদক্ষেপ নেওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে এখনো তামাক ব্যবহারকারী সংখ্যায় শীর্ষে রয়েছে। উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বিলম্বের কারণে প্রতিদিন মানুষ অসুস্থ হচ্ছে ও মারা যাচ্ছে, যা দেশের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। বর্তমানে তামাকজনিত বার্ষিক অর্থনৈতিক ক্ষতি ৩৯.২ হাজার কোটি টাকা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আদিব বলেন, “বাংলাদেশ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এফসিটিসি’র প্রথম স্বাক্ষরকারী দেশ হলেও ধূমপানমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে এখনো পিছিয়ে। প্রস্তাবিত সংশোধনী পাস হলে দেশের আইন বৈশ্বিক মানদণ্ডে পৌঁছাবে।”

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সৈকত বলেন, “তামাক কোম্পানিগুলো তরুণদের লক্ষ্য করে নতুন কৌশল নিচ্ছে-সিগারেট, ই-সিগারেটের পর এখন নিকোটিন পাউচ। সম্প্রতি একটি তামাক কোম্পানিকে এ পণ্যের কারখানা স্থাপনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে-এটি উদ্বেগজনক।”

মানববন্ধনে যুব প্রতিনিধিরা তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের ছয়টি প্রস্তাব তুলে ধরেন-

১. পাবলিক প্লেস ও পরিবহনে ধূমপানের নির্ধারিত স্থান বিলুপ্ত করা।

২. বিক্রয়কেন্দ্রে তামাকপণ্যের প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা।

৩. তামাক কোম্পানির সিএসআর কার্যক্রম সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা।

৪. ই-সিগারেট নিয়ন্ত্রণে শিশু-কিশোরদের সুরক্ষায় কঠোর ব্যবস্থা।

৫. তামাকপণ্যের খুচরা ও খোলা বিক্রি বন্ধ করা।

৬. সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তা ৫০% থেকে বাড়িয়ে ৯০% করা।

মানববন্ধন শেষে অংশগ্রহণকারীরা ইউসেপ বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত ডব্লিউবিপি’র এক কর্মশালায় যোগ দেন।