ঢাকাবৃহস্পতিবার , ৬ নভেম্বর ২০২৫
  • অন্যান্য

গ্রাহকদের জন্য মানসম্পন্ন সংযোগ ও তরঙ্গের সুষম বণ্টন জরুরি: ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব

নিজস্ব প্রতিবেদক
নভেম্বর ৬, ২০২৫ ৫:০৪ অপরাহ্ণ । ৯৪ জন

বাংলালিংকের প্রধান কার্যালয় ও অত্যাধুনিক নেটওয়ার্ক ম্যানেজমেন্ট সেন্টার পরিদর্শন করেছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।

পরিদর্শনকালে তিনি বলেন, “সত্যিকার অর্থে একটি কানেক্টেড ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল সমাজ গড়ে তুলতে হলে গ্রাহকদের জন্য মানসম্পন্ন সংযোগ ও তরঙ্গের (স্পেকট্রাম) সুষম বণ্টন নিশ্চিত করা জরুরি।”

তিনি সাব-১ গিগাহার্টজ লো ব্যান্ড স্পেকট্রামের সর্বোত্তম বরাদ্দ ও সমতাপূর্ণ বণ্টনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন, যা দেশের নাগরিকদের জন্য নির্ভরযোগ্য ও সাশ্রয়ী কানেক্টিভিটি সেবা নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে। পাশাপাশি গ্রামীণ এলাকায় ৭০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ডের নেটওয়ার্ক কভারেজ বিস্তৃত করা, নেটওয়ার্ক জ্যাম কমানো এবং সকল টেলিকম অপারেটরের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করার কৌশলগত পরিকল্পনার ওপরও তিনি জোর দেন।

এ সময় বাংলালিংকের প্রতিনিধিদের সঙ্গে তার ফলপ্রসূ আলোচনা হয়। আলোচনায় বাংলালিংক কীভাবে গ্রাহককেন্দ্রিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে উন্নত সংযোগ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-নির্ভর উদ্ভাবন ও ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তির অগ্রযাত্রা ত্বরান্বিত করছে, তা উপস্থাপন করা হয়।

বাংলালিংকের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ পরিদর্শনকালে নেটওয়ার্ক আধুনিকায়ন, সেবার মানোন্নয়ন, ইন্টারনেট গতি বৃদ্ধি এবং কোয়ালিটি অব সার্ভিস (QoS) উন্নতিতে চলমান বিনিয়োগ কার্যক্রম তুলে ধরে। পাশাপাশি, সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জীবনের মানোন্নয়নে ডিজিটাল ও আর্থিক সেবা সম্প্রসারণে প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন উদ্যোগ সম্পর্কেও অবহিত করা হয়।

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বাংলালিংকের নেটওয়ার্ক কার্যকারিতা উন্নয়নের পদক্ষেপের প্রশংসা করেন এবং বলেন, “স্পেকট্রামের কার্যকারিতা বৃদ্ধি ও সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা নিশ্চিতের মাধ্যমে দেশের সব গ্রাহককে উন্নত অভিজ্ঞতা দিতে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব অব্যাহত রাখতে হবে।”

বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী ইওহান বুসে বলেন, “গ্রাহকদের অভিজ্ঞতা উন্নত করার ক্ষেত্রে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবের মূল্যবান পরামর্শ আমাদের জন্য অত্যন্ত দিকনির্দেশনামূলক। তিনি লো ব্যান্ড স্পেকট্রাম ও ৭০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ডের সুষম বণ্টনের ওপর যে গুরুত্ব দিয়েছেন, তা দেশের প্রতিটি নাগরিকের জন্য উন্নত নেটওয়ার্ক নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে। বিশ্বব্যাপী ‘ডিজিটাল ডিভিডেন্ড ব্যান্ড’ হিসেবে স্বীকৃত এই স্পেকট্রাম গ্রামীণ সংযোগ সম্প্রসারণ, কভারেজ বৃদ্ধি ও নেটওয়ার্ক পারফরম্যান্স উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।”

তিনি আরও বলেন, “এই উদ্যোগগুলো বাস্তবায়িত হলে অপারেটররা গ্রাহকদের আরও উন্নত ডিজিটাল অভিজ্ঞতা দিতে পারবে এবং সত্যিকার অর্থে কানেক্টেড বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে দেশ আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে।”