কিশোরগঞ্জের একটি বেসরকারি স্কুলের শিক্ষক এবিএম শফিউল্লাহ শিক্ষকতার পাশাপাশি টিউশনি করেও তার পরিবারের খরচ ঠিকভাবে চালাতে পারতেন না। সংসারের চাপ সামলাতে কয়েক বছর আগে কিছু টাকা সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করেছিলেন তিনি। সেই বিনিয়োগের মুনাফা মিলিয়ে মোটামুটি চলছিল তার সংসার।
কিন্তু জুলাই থেকে সঞ্চয়পত্রে মুনাফার হার কমিয়ে দিয়েছে সরকার, যা আগামী ছয় মাসের জন্য প্রযোজ্য হবে। এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ শিক্ষক শফিউল্লাহ। তিনি বলেন, “খুব হিসাবের সংসার আমার। এখন যদি আমার উপার্জন এক হাজার টাকাও কমে তখন পরিবারের খরচ, মায়ের ওষুধ কেনা ও অন্যান্য ব্যয় আমি কিভাবে মেটাব? এটা তো মধ্যবিত্তের ওপর জুলুম।”
যদিও সরকার জানিয়েছে, আগে কেনা সঞ্চয়পত্রে এই নতুন হার প্রযোজ্য হবে না, তবে নতুন করে কেউ সঞ্চয়পত্র কিনলে বা পুনঃবিনিয়োগ করলে কম হারেই মুনাফা পাবেন।
সাধারণ মধ্যবিত্তদের কাছে নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে পরিচিত সঞ্চয়পত্র এখন আর আগের মতো লাভজনক থাকছে না বলে মনে করছেন অনেকেই। শফিউল্লাহর মতো আরও অনেক পরিবার পড়েছেন অনিশ্চয়তায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সঞ্চয়পত্রে সুদের হার কমানোয় মধ্যবিত্ত শ্রেণির ওপর আর্থিক চাপ আরও বাড়বে, বিশেষ করে যারা অবসরজীবী, নির্ভরশীল বা সীমিত আয়ের মানুষ।


