দেশজুড়ে বিরাজমান প্রচণ্ড গরমের মধ্যে খানিকটা স্বস্তির খবর দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সংস্থাটি জানিয়েছে, আগামী পাঁচ দিন ধরে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে টানা বৃষ্টিপাতের প্রবণতা থাকবে। এর ফলে ধীরে ধীরে প্রশমিত হতে পারে চলমান মৃদু তাপপ্রবাহ।
আজ মঙ্গলবার (১০ জুন) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ১২০ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে চট্টগ্রাম, সিলেট, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও বরিশালসহ বিভিন্ন বিভাগে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি এবং কোথাও কোথাও ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়াবিদ ড. মো. ওমর ফারুক জানান, বর্তমানে মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর কম সক্রিয়, তবে এটি ধীরে ধীরে সক্রিয় হয়ে উঠছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরেও মৌসুমি বায়ুর অবস্থান এখন দুর্বল থেকে মাঝারি।
এই অবস্থায়: চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও বরিশাল বিভাগে দু–এক জায়গায় দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। দেশের অন্যান্য স্থানে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
বর্তমানে ফরিদপুর, মাদারীপুর, টাঙ্গাইল, চাঁদপুর, ফেনী, পটুয়াখালী, এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এটি আপাতত অব্যাহত থাকলেও বৃষ্টির কারণে ধীরে ধীরে প্রশমিত হতে পারে। সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য অপরিবর্তিত থাকতে পারে, তবে সপ্তাহের মাঝামাঝি থেকে তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
দিনভিত্তিক বৃষ্টির পূর্বাভাস
বুধবার (১১ জুন):
চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় বজ্রসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন):
ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেটের অনেক জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহীতে কিছু কিছু জায়গায় বজ্রসহ বৃষ্টি, কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ। তাপমাত্রা সামান্য কমবে।
শুক্রবার (১৩ জুন):
রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেটের অনেক জায়গায় এবং খুলনা ও রাজশাহীর কিছু অংশে বৃষ্টির প্রবণতা অব্যাহত থাকবে।
শনিবার (১৪ জুন):
দেশের অধিকাংশ অঞ্চলে বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা, বিশেষ করে রংপুর, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে। কোথাও কোথাও অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
এই বৃষ্টিপাত দেশের কৃষি, জনজীবন ও পরিবেশের জন্য কিছুটা স্বস্তি আনলেও, ভারী বৃষ্টির ফলে নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতার আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না আবহাওয়াবিদরা। তাই সবাইকে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।