ঢাকাশনিবার , ১৪ জুন ২০২৫
  • অন্যান্য

জাফলংয়ে ইকো-ট্যুরিজমে মহাপরিকল্পনা: পাথর উত্তোলন নয়, হবে বিকল্প কর্মসংস্থান

নিজস্ব প্রতিবেদক
জুন ১৪, ২০২৫ ৬:২৮ অপরাহ্ণ । ৫৩ জন

সিলেটের জাফলংসহ বিভিন্ন পর্যটন এলাকায় পরিবেশবান্ধব ইকো-ট্যুরিজমের উন্নয়নে মহাপরিকল্পনা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, জাফলং একটি পরিবেশগতভাবে সংবেদনশীল এলাকা। তাই এখানে আর পাথর উত্তোলনের জন্য ইজারা দেওয়া হবে না। এই এলাকায় ইকো-ট্যুরিজমের কৌশল নির্ধারণে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।

শনিবার (১৪ জুন) জাফলং পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি জানান, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এই অঞ্চলের পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে পাথর উত্তোলনের কার্যক্রম সীমিত করা হবে এবং এর সঙ্গে জড়িত শ্রমিকদের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা প্রাধান্য পাবে।

তিনি আরও জানান, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন; বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ এবং পরিবেশ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সমূহ যৌথভাবে এই মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করবে।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, “জাফলং একটি পরিবেশগতভাবে সংবেদনশীল এলাকা। তাই এখানে আর পাথর উত্তোলনের জন্য ইজারা দেওয়া হবে না। এই এলাকায় ইকো-ট্যুরিজমের কৌশল নির্ধারণে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।”

তিনি অভিযোগ করেন, অতিরিক্ত পাথর ও বালু উত্তোলনের ফলে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ ব্যাহত হচ্ছে, যা পরিবেশের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এ সময় বলেন, “জাফলংয়ে পাথর উত্তোলন বন্ধ থাকায় এখানকার স্টোন ক্রাশারগুলো অপসারণ করা হবে। অবৈধভাবে আর কেউ পাথর উত্তোলন করতে পারবে না।”

পরিদর্শনকালে আরও উপস্থিত ছিলেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মো. সাইফুল ইসলাম, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবী, জেলা প্রশাসক মো. শের মাহবুব মুরাদ, পুলিশ সুপার মো. মাহবুবুর রহমান, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির ও পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেটের পরিচালক ফেরদৌস আনোয়ারসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

পরিদর্শনের অংশ হিসেবে উপদেষ্টাদ্বয় জলযানে জাফলংয়ের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন এবং স্থানীয়দের সঙ্গে উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে মতবিনিময় করেন। পাশাপাশি জাফলং স্টোন মিউজিয়াম ও হরিপুর রেস্ট হাউজে গাছের চারা রোপণ কর্মসূচিতে অংশ নেন।

সরকারের এই উদ্যোগকে স্থানীয়রা স্বাগত জানিয়েছেন এবং দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন পরিবেশ সচেতন মহল।