ঢাকাসোমবার , ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫
  • অন্যান্য

বৈজ্ঞানিক মাছ চাষে খাদ্য নিরাপত্তায় নতুন সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে: মৎস্য উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক
ডিসেম্বর ১৫, ২০২৫ ১১:০২ পূর্বাহ্ণ । ৩৯ জন

বৈজ্ঞানিকভাবে সিবাছ (কোরাল) মাছ চাষ বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা ও মাছের সরবরাহ ব্যবস্থায় নতুন ও সম্ভাবনাময় দিগন্ত উন্মোচন করছে। এই উদ্যোগ দেশের মাছ উৎপাদন বৃদ্ধি ও টেকসই খাদ্য ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে জানিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।

রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কক্সবাজারের কলাতলিতে অবস্থিত আধুনিক ‘গ্রিন হাউজ মেরিকালচার’ হ্যাচারি পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

ফরিদা আখতার বলেন, “আমি দেখে অত্যন্ত আনন্দিত যে মাছের ব্রুড সংগ্রহ থেকে ডিম উৎপাদন পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে পরিচালিত হচ্ছে। একটি আধুনিক হ্যাচারি হিসেবে এর গুরুত্ব অপরিসীম।”

তিনি আরও বলেন, সবচেয়ে আশাব্যঞ্জক দিক হলো-এই মাছচাষ শুধু কক্সবাজারের মতো উপকূলীয় এলাকায় সীমাবদ্ধ নয়; উত্তরবঙ্গসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলগুলোতেও এটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব। এর ফলে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মাছ উৎপাদন বাড়বে এবং জাতীয় খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী হবে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা জানান, সরকার সামুদ্রিক মৎস্য চাষ বা মেরিকালচার সম্প্রসারণে নানাভাবে সহায়তা প্রদান করবে। তবে এ খাতে বেসরকারি উদ্যোক্তারাই হবেন মূল চালিকাশক্তি। বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণ বাড়লে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং বৈজ্ঞানিক মাছ উৎপাদন আরও গতিশীল হবে।

তিনি বলেন, এ ধরনের আধুনিক ও টেকসই উদ্যোগ ভবিষ্যতে বাংলাদেশের ব্লু ইকোনমিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। এটি শুধু সরকারের একটি লক্ষ্য নয়, বরং দেশের অর্থনীতি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য একটি শক্ত ভিত্তি তৈরি করবে।

এ সময় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, দেশে প্রথমবারের মতো সামুদ্রিক কোরাল মাছের কৃত্রিম প্রজননে সাফল্য অর্জন করেছে কক্সবাজারের ‘গ্রিন হাউজ মেরিকালচার’ হ্যাচারি। এর ফলে ভবিষ্যতে পুকুরে সামুদ্রিক কোরাল মাছ চাষের নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। কোরাল মাছের পোনা উৎপাদন সংক্রান্ত এই গবেষণা কার্যক্রমে মৎস্য অধিদপ্তর সব ধরনের কারিগরি ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে।