ঢাকাশুক্রবার , ৪ জুলাই ২০২৫
  • অন্যান্য

পুঁজিবাজার ধ্বংসকারীদের ছাড় নয়: বিএসইসি কমিশনার

নিজস্ব প্রতিবেদক
জুলাই ৪, ২০২৫ ১০:১৬ অপরাহ্ণ । ৪০০ জন

পূঁজিবাজারে কারসাজির দায়ে আরোপিত জরিমানা আদায়ে কিছুটা সময় লাগছে বলে কেউ কেউ কমিশনের সমালোচনা করছেন। তবে আজ হোক বা কাল—জরিমানা পরিশোধ করতেই হবে।” এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার মো. আলী আকবর। যিনি জরিমানা পরিশোধে রাজি, তার কোনো সমস্যা নেই। আর যিনি আপিল করবেন, সেটিও তার অধিকার বলেও কমিশনার মো: আলী আকবর। কমিশনের পক্ষে এই প্রক্রিয়া বন্ধ করা সম্ভব নয়। পুঁজিবাজার ধ্বংসে যেসব চক্র সক্রিয়, বিনিয়োগকারীদের ক্ষতির জন্য দায়ী, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। বলেন, আইন অমান্য না করলে জরিমানার ভয় নেই।

শুক্রবার (৪ জুলাই) আশুলিয়ার ব্র্যাক সিডিএম-এ ‘ওয়ার্কশপ অন ক্যাপিটাল মার্কেট’ শীর্ষক এক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। পুঁজিবাজার নিয়ে কাজ করা সাংবাদিকদের সংগঠন ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরামের (সিএমজেএফ) সদস্যদের জন্য বিএসইসি দুই দিনের আবাসিক এই কর্মশালাটি আয়োজন করে।

কর্মশালার শুরুতে ভিডিও বার্তায় শুভেচ্ছা জানান বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ। উপস্থিত ছিলেন বিএসইসির কমিশনার ফারজানা লালারুখ, নির্বাহী পরিচালক মীর মোশাররফ হোসেন, সিএমজেএফের সভাপতি গোলাম সামদানী ভূঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক আবু আলী।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কমিশনের সহকারী পরিচালক শহীদুল ইসলাম।

কর্মশালায় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার মো. আলী আকবর বলেন, “আমি বিশ্বাস করি, সত্য ও সুন্দর একসঙ্গে থাকতে হলে তা অসত্যের সঙ্গে মেশানো যাবে না। বাজারে কঠোর আইন প্রয়োগ এখন সময়ের দাবি। ইনফোর্সমেন্ট ছাড়া বাজারে শৃঙ্খলা নিশ্চিত করা যায় না।”

পুঁজিবাজারে সাম্প্রতিক মন্দার জন্য কমিশন দায়ী নয় উল্লেখ করে আলী আকবর বলেন, “বাজারে আস্থা তৈরি এক জটিল বিষয়। কখন, কার প্রতি আস্থা তৈরি হয় তা বলা মুশকিল। তবে নিশ্চিত করে বলতে পারি, বিএসইসির কারণে বাজারের কোনো ক্ষতি হয়নি।”

বর্তমান সময়কে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের উপযোগী সময় উল্লেখ করে তিনি বলেন, “বিনিয়োগের জন্য মাঠ এখন প্রস্তুত। যারা বিনিয়োগ করতে চান, তাদের জন্য ভালো ফল পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।”

তিনি যোগ করেন, “বিএসইসির লক্ষ্য দুটি—বাজার যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় এবং বাজারের উন্নয়ন নিশ্চিত করা।”

বিএসইসি কমিশনার ফারজানা লালারুখ বলেন, “পুঁজিবাজার উন্নয়নে বিএসইসি ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভবিষ্যতেও এ ধরনের আয়োজন অব্যাহত থাকবে।”

বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মীর মোশাররফ হোসেন বলেন, “তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর বিষয়ে অনুসন্ধানে সাংবাদিকদের রিপোর্ট আমাদের বড় সহায়তা করে। অনেক সময় সাংবাদিকরা ব্যক্তিগতভাবেও তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেন। আজকের এই প্রশিক্ষণ তাদের আরও কার্যকর রিপোর্টিংয়ে সহায়তা করবে বলে মনে করি।”

সিএমজেএফ সভাপতি গোলাম সামদানী ভূঁইয়া বিএসইসিকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “বাজার উন্নয়নে সাংবাদিকদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে এ ধরনের প্রশিক্ষণ অত্যন্ত সময়োপযোগী।”