পঞ্চগড়ে শীতের তীব্রতা বেড়েই চলেছে। এ অঞ্চলে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে নেমে যাওয়ায় বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে বয়ে আসা হিমেল বাতাস ও কনকনে ঠান্ডার কারণে গত কয়েকদিন ধরেই জেলার তাপমাত্রা ১০-১১ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করছে। প্রায় প্রতিদিনই দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হচ্ছে পঞ্চগড়ে।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করে। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৯৯ শতাংশ। আগের দিনও একই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়, যা চলতি শীত মৌসুমের সর্বনিম্ন।
জেলার বিভিন্ন স্থানে দিন ও রাতের তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় শীতের প্রকোপ আরও বেড়েছে। সন্ধ্যার পর থেকে কনকনে ঠান্ডা ও ঘনকুয়াশায় এলাকা ঢেকে যায়। রাতভর কুয়াশা থাকলেও ভোরের সূর্যোদয়ের সঙ্গে সামান্য কমে ঠান্ডার অনুভূতি। তবে বিকেলের পর থেকেই আবার বাড়তে থাকে শীতের তীব্রতা।
ঠান্ডা বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের বহির্বিভাগে প্রতিদিন গড়ে তিন শতাধিক রোগী কাশি, সর্দি, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া নিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যা বেশি। শয্যা সংকটের কারণে অনেক রোগী মেঝে বা বারান্দায় অবস্থান করছেন।
শীত মোকাবিলায় জেলা প্রশাসন আগেভাগেই শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু করেছে। সরকারি বরাদ্দের ৩০ লাখ টাকায় ৮৬৪০ কম্বল ক্রয় করে বিতরণ করা হয়েছে। আরও শীতবস্ত্রের চাহিদা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, আজ সকাল ৯টায় তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও বাতাসের আর্দ্রতা ৯৯ শতাংশ। চলতি মাসের শুরু থেকে মাঝামাঝি সময়ে এক থেকে দুই দফা শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।


