ঢাকারবিবার , ৯ নভেম্বর ২০২৫
  • অন্যান্য

খুলনায় সবজির সরবরাহ বেড়েছে, তবুও কমেনি দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক
নভেম্বর ৯, ২০২৫ ১১:৩৩ পূর্বাহ্ণ । ১১৮ জন

খুলনায় বাজারে সবজির সরবরাহ বাড়লেও দাম কমেনি। অধিকাংশ সবজিই বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকার ওপরে। একইসঙ্গে পেঁয়াজের দামও বেড়ে প্রতি কেজি ১১০ থেকে ১৩০ টাকায় পৌঁছেছে। রোববার (৯ নভেম্বর) খুলনার নতুন বাজার, নিউ মার্কেট ও খালিশপুর বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

সবজি ব্যবসায়ীরা জানান, নতুন মৌসুমি সবজি বাজারে এলেও দাম এখনো স্বাভাবিক হয়নি। বর্তমানে বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা, করলা ৭০-৮০ টাকা, বরবটি ৬০-৭০ টাকা, পটোল ৪০-৫০ টাকা, লালশাক ও পালংশাক ২৫-৩০ টাকা, লাউ শাক ৪০-৫০ টাকা, কুমড়া ৪০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৪০-৫০ টাকা, টমেটো ৮০-১০০ টাকা, শিম ৭০-৮০ টাকা এবং ফুলকপি ৯০-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁচামরিচের দামও চড়া, মানভেদে কেজি ১৮০-২০০ টাকা।

পেঁয়াজের দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১১০-১৩০ টাকায়, আর রসুন ৮০-১০০ টাকায়।

মুরগি ও মাংসের বাজারেও দাম কিছুটা উঁচু। ব্রয়লার মুরগি ১৬০-১৭০ টাকা, সোনালি ২৫০ টাকা এবং লেয়ার ২৬০-২৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস কেজিপ্রতি ৭৫০ টাকা এবং খাসির মাংস ১১৫০-১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মাছের বাজারে রুই ২৫০-৩০০, কাতল ২৪০-২৬০, তেলাপিয়া ১৬০-১৮০, পাঙাশ ১৭০-২০০, পাবদা ৩০০-৩৫০, ভেটকি ৫০০-৬০০, চিংড়ি ৬০০-১০০০ এবং ছোট মাছ ৩০০-৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

নিউ মার্কেটের সবজি বিক্রেতা ইনছান মোল্যা বলেন, “নতুন সবজি বাজারে আসায় কিছু দাম কমতে শুরু করেছে। তবে শীতকালীন সবজির দাম কিছুটা বেশি আছে। পেঁয়াজের দাম বেড়েছে আমদানি কম থাকার কারণে, সামনে আরও বাড়তে পারে।”

মাছ ব্যবসায়ী আজমল শেখ জানান, “চাষের মাছের দাম কিছুটা বেশি থাকলেও সামুদ্রিক মাছের ঘাটতি নেই বাজারে।”

বাজারে আসা ক্রেতারা অভিযোগ করেছেন, সবজির দাম লাগামছাড়া অবস্থায় আছে। ক্রেতা জলিল শেখ বলেন, “আগে ১০০ টাকায় তিন-চার পদের সবজি কেনা যেত, এখন দুই পদেরও কষ্টে হয়।”

আরেক ক্রেতা ফরহাদ হোসেন বলেন, “নিয়মিত বাজার মনিটরিং থাকলে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হতো। সবজির দাম লাগামহীন হওয়া মানেই বাজারব্যবস্থার অস্থিরতা।”

বাজার বিশ্লেষকদের মতে, পরিবহন ব্যয়, পাইকারি পর্যায়ে অস্থিরতা ও পেঁয়াজ আমদানি সংকটের কারণে খুলনাসহ সারাদেশে নিত্যপণ্যের দামে স্থিতিশীলতা ফিরছে না।