ঢাকাশনিবার , ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫
  • অন্যান্য

উপকূল রক্ষায় দূরদর্শী পরিকল্পনার আহ্বান: পরিবেশ উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক
ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫ ৩:৪৫ অপরাহ্ণ । ৩৭ জন

বাংলাদেশের উপকূল রক্ষায় এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া দরকার বলে মনে করছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, উপকূল সংরক্ষণ, নদী দূষণ নিয়ন্ত্রণ এবং কৃষিকাজের জন্য আলাদা নীতি ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে। উপকূল রক্ষায় দূরদর্শী ও সুশৃঙ্খল পরিকল্পনা গ্রহণ না করলে সমুদ্রস্ফীতি ও প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে বাঁচানো সম্ভব হবে না।

শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর সামরিক জাদুঘরে জাতীয় উপকূল সম্মেলন ২০২৫-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা রিজওয়ানা বলেন, “১০টি নদী দখল ও দূষণমুক্ত করার প্রকল্প জমা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৫টি পাস হয়েছে, ৩টি অপেক্ষায় রয়েছে এবং বাকি ২টি রিভাইজড। এটি ২ বছরের কম সময়ে করা সম্ভব নয়, তবে সরকারের সদিচ্ছায় তা করা সম্ভব হচ্ছে।”

তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশের একটি বড় অংশই উপকূল। যতই অর্থ ব্যয় করা হোক না কেন, সমুদ্রস্ফীতি ঠেকানো যাবে না। এজন্য প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো অপরিহার্য। বর্তমানে কোস্টাল ম্যানেজমেন্ট রুলের কোনো কার্যকর রুল নেই।”

খুলনা শহরের পানি সংকট নিয়ে তিনি জানান, “গভীর নলকূপের মাধ্যমে পানি উত্তোলন করা হলেও এটি চূড়ান্ত সমাধান নয়। রেইনওয়াটার হার্ভেস্টিং স্কিম নিয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব জমা দেওয়া হয়েছে এবং বৈদেশিক সাহায্য নিয়েও কাজ করা হচ্ছে।”

সোনাদিয়ার ড্রেজার প্রকল্প বাতিল হওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “যে পরিমাণ চিংড়ি ঘের ভাঙতে কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে, সোনাদিয়াকে রক্ষা করতে পারলে উপকূলবাসীকে রক্ষা করা সম্ভব হবে।”

সেন্টমার্টিনের পর্যটন নির্ভর ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য তিনি জানান, “প্রাথমিক তালিকা তৈরি করা হয়েছে, উন্নয়ন সংস্থা কোস্ট ও ব্র্যাক কাজ করছে। কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে কোল্ড স্টোরেজ সুবিধা প্রদান করা হবে।”

যশোর ও খুলনার চিংড়ি ঘেরের পানি ব্যবস্থাপনা নিয়ে তিনি বলেন, “বাঁধের মধ্যে পাইপ বসিয়ে পানি নেওয়ার স্থান চিহ্নিত করা হয়েছে। ৩০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং পাইপ সরানোর কাজ চলছে। সাতক্ষীরাতেও প্রচুর কাজ হয়েছে।”

রিজওয়ানা হাসান আরও বলেন, “উপকূল সংরক্ষণের জন্য শর্ট টার্ম ও মিড টার্ম পরিকল্পনা প্রয়োজন; সরাসরি লং টার্ম প্ল্যানে যাওয়া সম্ভব নয়।”