ঢাকামঙ্গলবার , ১৪ অক্টোবর ২০২৫
  • অন্যান্য

আজকের সর্বশেষ সবখবর

পুলিশ কর্মকর্তাদের নিয়ে ‘রোড ক্র্যাশের অন্যতম ঝুঁকি গতি’ বিষয়ে কর্মশালা অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক
অক্টোবর ১৪, ২০২৫ ১০:০৮ অপরাহ্ণ । ৭৭ জন

সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিতে বৈশ্বিকভাবে স্বীকৃত কৌশল হিসেবে তিনটি ‘ই’ এর ওপর জোর দেওয়া হয়—ইঞ্জিনিয়ারিং, এডুকেশন ও এনফোর্সমেন্ট। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা হিসেবে পুলিশ শুধু আইন প্রয়োগের কাজটি করে থাকে, যা সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিতে আংশিক ভূমিকা রাখে। যদি আমরা সড়কে মৃত্যু শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে চাই, তাহলে আমাদেরকে অবশ্যই রোড ইঞ্জিনিয়ারিং ও সড়ক ব্যবহারকারীদের নিয়মকানুন সম্পর্কে শিক্ষিত করে তুলতে হবে।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) জনাব মো. আসফিকুজ্জামান আকতার, বিপিএম আজ সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫) ‘রোড ক্র্যাশের অন্যতম ঝুঁকি গতি’ শীর্ষক একটি প্রশিক্ষণ কর্মশালায় এ মন্তব্য করেন।

চট্টগ্রাম নগরীতে সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশের দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রপিস ইনিশিয়েটিভ ফর গ্লোবাল রোড সেফটি (বিআইজিআরএস) প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে, গ্লোবাল রোড সেফটি পার্টনারশিপ (জিআরএসপি) কর্মশালাটি আয়োজন করে। ১২ ও ১৩ অক্টোবর কর্মশালায় দুই ব্যাচে ৭৩ জন পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।

প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার জনাব আসফিকুজ্জামান আকতার, বিপিএম। কর্মশালায় তিনি ‘রোড ক্র্যাশের ঝুঁকি গতি : একটি জাতীয় সঙ্কট’ শীর্ষক সেশন পরিচালনা করেন। এসময় সেখানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-উত্তর) (অতিরিক্ত ডিআইজি হিসেবে প্রমোশনপ্রাপ্ত) জনাব নেসার উদ্দিন আহমদ, পিপিএম।

জিআরএসপি’র সিনিয়র রোড পুলিশিং উপদেষ্টা জনাব মাইকেল ফিল্যান্ড ও জনাব পল সিমকক্স প্রশিক্ষণ সেশন পরিচালনা করেন। এই প্রশিক্ষণে তারা রোড ক্র্যাশ প্রতিরোধে আইন প্রয়োগের ভূমিকা, ক্র্যাশের ক্ষেত্রে যানবাহনের উচ্চ গতির ভূমিকা, গতি নিয়ন্ত্রণের গুরুত্ব, গতি নিয়ন্ত্রণ প্রযুক্তি ও কৌশল এবং রাস্তার পাশের চেকপয়েন্টগুলির নিরাপদ ব্যবস্থাপনা ইত্যাদির উপর আলোচনা করেন।

প্রসঙ্গত, দেশে রোড ক্র্যাশে মৃত্যু ও হতাহত কমিয়ে আনার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহনস কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) দেশের বিভিন্ন সড়ক ও মহাসড়ের যানবাহন ভেদে সর্বোচ্চ গতিসীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে। সিটি কর্পোরেশন এলাকায় যানবাহনের সর্বোচ্চ গতি হবে ৪০ কিমি/ঘণ্টা, যদিও মোটরসাইকেলের ক্ষেত্রে তা ৩০ কিমি/ঘণ্টা।

কর্মশালায় ট্রাফিক সার্জেন্ট, উপ-পরিদর্শক, পুলিশ পরিদর্শক, সহকারী পুলিশ কমিশনার ও অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনারগণ উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালা শেষে উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-পশ্চিম) নিষ্কৃতি চাকমা অংশগ্রহণকারীদের হাতে সনদপত্র তুলে দেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিআইজিআরএস চট্টগ্রামের ইনিশিয়েটিভ কোঅর্ডিনেটর জনাব লাবিব তাজওয়ান উৎসব, এনফোর্সমেন্ট কো-অর্ডিনেটর কাজী হেলাল উদ্দিন ও কমিউনিকেশন অফিসার মাহামুদুল হাসান।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সাল থেকে এখন পর্যন্ত সিএমপির প্রায় ৬০০ কর্মকর্তাকে সড়ক নিরাপত্তার বিভিন্ন  বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে জিআরএসপি।