ঢাকামঙ্গলবার , ৯ ডিসেম্বর ২০২৫

৫ বছরে বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ ৪২% বৃদ্ধি, পরিশোধের চাপ দ্বিগুণ: বিশ্বব্যাংক

নিজস্ব প্রতিবেদক
ডিসেম্বর ৯, ২০২৫ ১২:০১ অপরাহ্ণ । ২২ জন

গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ তীব্রভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ঋণ পরিশোধের চাপ দ্বিগুণ হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। ২০২৪ সালে বাংলাদেশের মোট বৈদেশিক ঋণ ১০৪.৪৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা ২০২০ সালের ৭৩.৫৫ বিলিয়ন ডলারের তুলনায় ৪২% বেশি।

বিশ্বব্যাংকের আন্তর্জাতিক ঋণ প্রতিবেদন ২০২৫ অনুযায়ী, বাংলাদেশে ঋণ বৃদ্ধির ফলে সরকার ও বেসরকারি খাত উভয়ের উপর ক্রমবর্ধমান পরিশোধের চাপ তৈরি হয়েছে। ২০২০ সালে বাংলাদেশ মূলধন ও সুদ পরিশোধে ৩.৭৩ বিলিয়ন ডলার খরচ করলেও ২০২৪ সালে তা প্রায় দ্বিগুণ হয়ে ৭.৩৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের শেষে বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ রপ্তানি আয়ের ১৯২%, এবং মোট ঋণ-পরিশোধ রপ্তানির ১৬%। এতে স্পষ্ট হয়ে গেছে, ঋণ পরিশোধের চাপ দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। দক্ষিণ এশিয়ায় শ্রীলঙ্কা ছাড়া অন্য কোনো দেশ এই শ্রেণীতে নেই।

গত দশকে বাংলাদেশ পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মেট্রোরেল, বিদ্যুৎ কেন্দ্র, বিমানবন্দর টার্মিনাল সম্প্রসারণ, নদী টানেল এবং এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে সহ বেশ কয়েকটি মেগা অবকাঠামো প্রকল্পের জন্য প্রচুর ঋণ নিয়েছে। এর কিছু প্রকল্পের ঋণ পরিশোধ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে।

তবে ঋণ বিতরণ তুলনামূলকভাবে স্থির রয়েছে। ২০২৪ সালে নিট বিতরণ ১১.১০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা পাঁচ বছর আগে ১০.২২ বিলিয়ন ডলারের তুলনায় সামান্য বৃদ্ধি।

বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে, বাংলাদেশ আইডিএ ঋণের প্রধান গ্রহীতাদের মধ্যে রয়েছে। এছাড়া নাইজেরিয়া এবং পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশ এই তিনটি দেশ মোট আইডিএ প্রতিশ্রুতির ৩০% গ্রহণ করে। বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণের প্রায় ২৬% বিশ্বব্যাংক থেকে এসেছে, এরপরে আছে এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও জাপান।

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে ঋণ পরিশোধের চাপ, যা দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।