সকালের তীব্র যানবাহন সংকট কাটিয়ে ধীরে ধীরে রাজধানীর সড়কপথের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরের দিকে প্রধান সড়কগুলোতে বাস ও প্রাইভেটকারের উপস্থিতি বাড়তে শুরু করেছে। সকালে সীমিত সংখ্যক যানবাহনের কারণে অফিসগামী মানুষ ও শিক্ষার্থীরা বিপাকে পড়লেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দুর্ভোগ কিছুটা কমেছে।
সকাল থেকে পতিত আওয়ামী লীগের ‘লকডাউন’ কর্মসূচি এবং বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, ছাত্রদল ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের পাল্টা কর্মসূচির কারণে রাজধানীর ফার্মগেট, শাহবাগ, মিরপুর, মতিঝিল, গুলিস্তান, যাত্রাবাড়ী, নীলক্ষেত ও উত্তরা এলাকায় গণপরিবহন প্রায় অচল হয়ে পড়েছিল। সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত যাত্রীদের দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।
দুপুর নাগাদ পরিস্থিতির উন্নতি হতে শুরু করে। যেসব বাস সকাল থেকে গ্যারেজে ছিল, সেগুলো একে একে রাস্তায় নামতে শুরু করে। অনেক রুটে মিনিবাস ও সিটি সার্ভিসের উপস্থিতি বৃদ্ধি পাওয়ায় যাত্রীদের স্বস্তি ফিরে আসে। সচিবালয় থেকে শাহবাগ, বাংলামোটর ও ফার্মগেট পর্যন্ত যাত্রীবাহী সড়কে যান চলাচল মোটামুটি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরেছে।
বাসচালকরা জানান, সকালে অনেকেই গ্যারেজে থেকে যাত্রা করতে ভয় পাচ্ছিলেন। তবে দুপুরে পরিস্থিতি শান্ত হওয়ায় এখন রাস্তায় বের হচ্ছেন। সাভার ও বিহঙ্গ পরিবহনের চালকরা জানান, যাত্রী সংখ্যা এখনও পূর্ণ না হলেও ধীরে ধীরে বাড়ছে এবং ভাড়া স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরছে।
ঢাকা মহানগর ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সকালটা ছিল সবচেয়ে সংকটময়। রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে পরিবহন শ্রমিকরা রাস্তায় নামতে ভয় পাচ্ছিলেন। বিকেল নাগাদ রাজধানীর সড়ক সম্পূর্ণ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বিরক্তিকর পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল হওয়ায় চালকরা রাস্তায় নামতে শুরু করেছেন। তবে গুলিস্তান, পল্টন ও ফার্মগেট মোড়ে সংক্ষিপ্ত মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচির কারণে স্বল্প সময়ের যানজট তৈরি হচ্ছে।


