ঢাকামঙ্গলবার , ৯ ডিসেম্বর ২০২৫

আগামীকাল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস

মানবাধিকার সুরক্ষার প্রাথমিক ভিত্তি শতভাগ নিবন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক
ডিসেম্বর ৯, ২০২৫ ১২:১৬ অপরাহ্ণ । ৩৬ জন

আগামীকাল, ১০ ডিসেম্বর, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস। এই বছরের প্রতিপাদ্য “হিউম্যান রাইটস: আওয়ার এভরিডে এসেনসিয়ালস”। ব্যাক্তির আইনগত পরিচয় মানবাধিকার সুরক্ষার অন্যতম মৌলিক স্তম্ভ। কেবল জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন নিশিচতকরণের মাধ্যমে এই অধিকার সুরক্ষা সম্ভব। নিবন্ধনহীন ব্যক্তি রাষ্ট্রের চোখে অদৃশ্য এবং মৌলিক সেবা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে ঝুঁকির মধ্যে পড়ে।

বর্তমানে বাংলাদেশে জন্ম নিবন্ধনের গড় হার ৫০ শতাংশ অর্থাৎ এখনো অর্ধেক মানুষকে নিবন্ধন না থাকার কারণে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবার মতো মৌলিক অধিকার পেতে বেগ পেতে হচ্ছে। নিবন্ধনহীনতা দেশে শিশুশ্রম, বাল্যবিবাহ, মানবপাচারসহ বিভিন্ন ধরনের মানবধিকার লঙ্ঘনকে ত্বরান্বিত করছে। একইভাবে, মৃত্যু নিবন্ধন না থাকায় উত্তরাধিকার প্রমাণে জটিলতা সৃষ্টি হয়। আত্মীয়দের মধ্যে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের ঝুঁকি সৃষ্টি হয়। বর্তমানে দেশে অর্ধেকেরও বেশি মানুষের মৃত্যু নিবন্ধন নেই। বিশেষ করে গ্রাম, চরাঞ্চল, পাহাড়ি এলাকা ও নগরের বস্তি এলাকায় এই হার অনেক কম।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন, ২০০৪ সংস্কার করে পরিবারের পরিবর্তে সকল স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের ওপর নিবন্ধনের দায়িত্ব দিলে, দেশের স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে জন্ম নেওয়া প্রায় ৬৭ শতাংশ শিশু স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধনের আওতায় চলে আসবে। এতে সিআরভিএস দশকের শতভাগ নিবন্ধন লক্ষ্যমাত্রা পূরণ এবং এসডিজি ১৬.৯ (সবার জন্য বৈধ পরিচয়পত্র) অর্জন ত্বরান্বিত হবে।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস ২০২৫ উপলক্ষ্যে এক প্রতিক্রিয়ায় গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক, এবিএম জুবায়ের বলেন, “মানবাধিকার লঙ্ঘন শুরু হয় পরিচয়হীনতা থেকে। আইন সংস্কারের মাধ্যমে নিবন্ধন কার্যক্রম জনবান্ধব করতে হবে, যাতে কোনো মানুষই পরিচয়হীন না থাকে এবং শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, আইনি সুরক্ষা, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিসহ সকল মৌলিক অধিকার সমানভাবে ভোগ করতে পারে।”