জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাতে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে নেমেছে সর্বস্তরের মানুষের ঢল। ফুলেল শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় স্মরণ করা হচ্ছে দেশের জন্য আত্মদানকারী বীর শহীদদের।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে রাষ্ট্রপতি ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা শ্রদ্ধা নিবেদন করার পর জাতীয় স্মৃতিসৌধ সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়। এরপরই স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে হাজারো মানুষের সমাগম ঘটে।
দীর্ঘ প্রায় এক মাসের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে রেওয়াজ অনুযায়ী গত চারদিন জাতীয় স্মৃতিসৌধ এলাকায় সর্বসাধারণের প্রবেশ বন্ধ ছিল। প্রস্তুতি শেষে আজ সেখানে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের ঢল নামে।
এদিন জাতীয় স্মৃতিসৌধে রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, শিশু-কিশোর ও বয়োবৃদ্ধরা পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
এর আগে দিনের প্রথম প্রহরে সকাল ৬টা ৩৩ মিনিটে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর সকাল ৬টা ৫৭ মিনিটে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতির বীর সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর তিনি ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
এ সময় সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর একটি চৌকস দল রাষ্ট্রীয় সালাম প্রদর্শন করে। বিউগলে করুণ সুর বেজে ওঠে। পরে প্রধান উপদেষ্টা স্মৃতিসৌধে সংরক্ষিত দর্শনার্থী বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
শ্রদ্ধা নিবেদনকালে প্রধান বিচারপতি, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাবৃন্দ, তিন বাহিনীর প্রধানগণ, মুক্তিযোদ্ধা, কূটনীতিকসহ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে দেশের জন্য জীবন উৎসর্গকারী বীর শহীদদের স্মরণে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আজ সারাদেশে বিজয় দিবস উদযাপন করা হচ্ছে। সরকার ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দিবসটি উপলক্ষে পৃথক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।


