ঢাকাসোমবার , ১৩ অক্টোবর ২০২৫
  • অন্যান্য

টাইফয়েড প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়াতে হবে: উপদেষ্টা ফারুক ই আজম

নিজস্ব প্রতিবেদক
অক্টোবর ১৩, ২০২৫ ১০:৫২ পূর্বাহ্ণ । ৯৭ জন

টাইফয়েড ভ্যাকসিনের বার্তা সকলের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে, যাতে শিশুরা এ টিকা গ্রহণে আগ্রহী হয় বলে জানান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক ই আজম (বীর প্রতীক)। তিনি বলেন, “টাইফয়েড প্রতিরোধে টিকা নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। যেকোনো রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নেওয়ার চেয়ে আগে প্রতিরোধই উত্তম।”

রোববার (১২ অক্টোবর) বরিশাল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO), ইউনিসেফ ও গ্যাভির সহযোগিতায় আয়োজিত টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

উপদেষ্টা আরও বলেন, “টাইফয়েড রোগের প্রধান বাহক দূষিত পানি। একবার আক্রান্ত হলে শিশুর স্বাস্থ্য ভঙ্গুর হয়ে যায়, চিন্তাশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং নানা শারীরিক জটিলতা তৈরি করে। একবার টিকা নেওয়া হলে শিশু সারা জীবনের জন্য সুরক্ষিত থাকে। সরকার দেশব্যাপী শিশুদের জন্য বিনামূল্যে টাইফয়েড টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে।”

তিনি জোর দিয়ে বলেন, “প্রতিটি শিশুকে টিকা দেওয়া নিশ্চিত করতে সবাইকে সচেতন ও দায়িত্বশীল হতে হবে।” পরে তিনি বরিশাল জিলা স্কুলেও টাইফয়েড ভ্যাকসিন কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার মো. রায়হান কাওসার, ডিআইজি মো. মঞ্জুর মোর্শেদ আলম, পুলিশ কমিশনার মো. শরিফুল ইসলাম, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. আব্দুস সালাম, বরিশাল জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন, বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল, সমাজ সেবার পরিচালক শাহ মো. রফিকুল ইসলামসহ বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তা ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিরা।

সভায় জানানো হয়, শিশুদের টাইফয়েড থেকে সুরক্ষা দিতে আজ থেকে প্রথমবারের মতো দেশব্যাপী টাইফয়েড টিকাদান শুরু হয়েছে। এক মাসব্যাপী এই কর্মসূচিতে ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী প্রায় ৫ কোটি শিশু-কিশোর-কিশোরীকে বিনামূল্যে এই টিকা দেওয়া হবে।

ইপিআই কর্মসূচির আওতায় ১২ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত এই টিকাদান কার্যক্রম চলবে। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও নির্ধারিত কেন্দ্রে এই টিকা দেওয়া হবে।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই কর্মসূচি সফল হলে দেশে টাইফয়েড জ্বরে শিশুর আক্রান্ত ও মৃত্যুহার উল্লেখযোগ্যভাবে কমে আসবে।